পিএসসির বার্ষিক প্রতিবেদন
বিবাহিত নাকি অবিবাহিত—বিসিএসে কাদের দাপট বেশি?
- এ. কে. সাইমুম
- প্রকাশ: ০৭ মে ২০২৪, ০৯:৫২ PM , আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৪ AM
বর্তমানে বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে সরকারি চাকরি পাওয়াকে অনেকে ‘সোনার হরিণ’ বলে থাকেন। প্রতিবার বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের পর ‘সাফল্যের কারণ’ হিসেবে সবচেয়ে বড় আকারে একটি প্রশ্ন সামনে আসে, বিসিএসে কারা বেশি—বিবাহিত নাকি অবিবাহিতরা? স্বামী-স্ত্রী দুজনেই একসঙ্গে বিসিএস ক্যাডার, স্ত্রীর অনুপ্রেরণায় স্বামী বিসিএস ক্যাডার— সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন আলোচনায় মেতে উঠেন নেটিজেনরা। এ কারণে অনেকেই বিসিএস নামক এই ‘সোনার হরিণ’ ধরতে বিয়ে করার পরামর্শও দেন।
তবে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) বার্ষিক প্রতিবেদনে এই তথ্যটি পুরোটাই উল্টো। কমিশনের সর্বশেষ প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বিসিএস ক্যাডারে অবিবাহিতদের দাপট বাড়ছেই। সর্বশেষ ৫টি বিসিএসের ফলের পরিসংখ্যান থেকে অবিবাহিতদের এগিয়ে থাকার এই তথ্য পাওয়া গেছে। তবে ৪২তম বিশেষ বিসিএসে বিবাহিত এবং অবিবাহিত প্রায় সমান ছিল।
পিএসসির সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, সুপারিশকৃত প্রার্থীদের মধ্যে ৩৯তম বিসিএস, ৪০তম বিসিএস, ৪১তম (বিশেষ) বিসিএস ৪২তম বিসিএস ও ৪৩তম (বিশেষ) বিসিএস থেকে বিবাহিত প্রার্থী যথাক্রমে ২ হাজার ৯৮০ (৪৩.৮৮%) জন, ২৮৬ (১৪.৫৭%) জন, ৪০৭ (১৬.১৮% ) জন, ১ হাজার ৮২৬ (৪৫.৬৫% ) জন, এবং ৩৫৮ (১৬.৫৫% ) জন।
পিএসসির বার্ষিক প্রতিবেদন-২০২৩
অন্যদিকে অবিবাহিত প্রার্থী যথাক্রমে ৩ হাজার ৮১২ (৫৬.১২%) জন, ১ হাজার ৬৭৭ (৮৫.৪৩%) জন, ২ হাজার ১০৯ (৮৩.৮২%) জন, ২ হাজার ১৭৪ (৫৪.৩৫%) জন এবং ১ হাজার ৮০৫ (৮৩.৪৫%) জন।
প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, ৪২তম (বিশেষ) বিসিএস থেকে বিবাহিত প্রার্থী তুলনামূলক বেশি অর্থাৎ ৪৫.৬৫% এবং ৪০তম বিসিএস থেকে বিবাহিত প্রার্থী তুলনামূলক কম অর্থাৎ ১৪.৫৭% সুপারিশ পেয়েছেন।
অন্যদিকে, ৪০তম বিসিএস থেকে অবিবাহিত প্রার্থী তুলনামূলক বেশি অর্থাৎ ৮৫.৪৩% এবং ৪২তম (বিশেষ) বিসিএস থেকে অবিবাহিত প্রার্থী তুলনামূলক কম অর্থাৎ ৫৪.৩৫% সুপারিশ পেয়েছেন।
প্রতিবেদন থেকে আরও জানা যায়, বিসিএস পরীক্ষায় যোগ্য আবেদনকারীর মধ্যে ৩৯তম (বিশেষ) বিসিএস, ৪০তম বিসিএস, ৪২তম (বিশেষ), ও ৪৩তম বিসিএসে বিবাহিত প্রার্থী যথাক্রমে ১৬ হাজার ৪১৬ (৪৩.৬৯%) জন, ৯৬ হাজার ৫২ (২৩.৩০%) জন, ৯০ হাজার ৫৩৭ (২২.৩৮%) জন, ১৪ হাজার ৯১8 (৪৮.০৭%) জন, এবং ১ লাখ ১৮ হাজার ২৪৫ (২৩.৩০%) জন।
অবিবাহিত প্রার্থী যথাক্রমে ২ লাখ ১১ হাজার ৬৬০ (৫৬.৩১%) জন, ৩ লাখ ১৬ হাজার ১৬৩ (৭৬.৭০%), ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭৬ (৭৭.৬২%) জন, ১৬ হাজার ১১২ (৫১.৯৩%) জন এবং ৩ লাখ ২৪ হাজার ৫৮৬ (৭০.৩০%) জন।
আরও পড়ুন: বিসিএসে চাকরি বেশি হচ্ছে ২৩-২৫ বছর বয়সী প্রার্থীদের
এবার ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারিতে ২ লাখ ৫৪ হাজার ৫৬১ জন প্রার্থী অংশ নিয়েছেন। পরীক্ষা দেননি ৮৩ হাজার ৪২৫ জন। উপস্থিতির হার ৭৫ শতাংশ।
এই বিসিএসে ৩ হাজার ১৪০টি পদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে স্বাস্থ্য ক্যাডারে। এ ছাড়া সহকারী সার্জন ১ হাজার ৬৮২ জন, সহকারী ডেন্টাল সার্জন ১৬ জন নেওয়া হবে। এরপর সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে শিক্ষা ক্যাডারে। বিভিন্ন বিষয়ে এই ক্যাডার থেকে বিসিএস শিক্ষায় ৫২০ জন নেওয়া হবে।