জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
নন-ক্যাডারে বিপিএড ডিগ্রিধারীরা আবেদন করতে পারছেন না, যা বলছে পিএসসি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২৩, ০৭:২৯ PM , আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২৩, ০৭:৪৭ PM
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীন শারীরিক শিক্ষা কলেজে প্রভাষক পদে যোগ্যতা থাকলেও আবেদন করতে পারছে না প্রার্থীরা। এই বিজ্ঞপ্তির ২ পদ জেলা ক্রীড়া অফিসার এবং শারীরিক শিক্ষা কলেজের প্রভাষক হিসেবে আবেদনের ক্ষেত্রে একই যোগ্যতার কথা বলা হলেও সমান যোগ্যতা থাকা প্রার্থীরা পদ দুটিতে আবেদন করতে পারছে না। ফলে শারীরিক শিক্ষা কলেজের প্রভাষক পদে আবেদন করতে গিয়ে প্রার্থীদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে।
গত ৬ জুলাই আবেদনের ত্রুটি সমাধান চেয়ে পিএসসি বরাবর একটি চিঠি পাঠায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিপিএড ডিগ্রী ধারী শিক্ষার্থীরা।
পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (নন ক্যাডার) আব্দুল্লাহ আল মামুন বরাবর দেয়া ওই পত্রে বলা হয়েছে, দ্বিতীয় শ্রেণী বা সমমানের সিজিপিএ’তে স্নাতকোত্তর বা সমমানের ডিগ্রীসহ বা দ্বিতীয় শ্রেণী বা সমমানের সিজিপিএ’তে ব্যাচেলর অব ফিজিক্যাল এডুকেশনের (বিপিএড) যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও প্রার্থীদের আবেদন গৃহীত হচ্ছে না। বিষয়টির সমাধান প্রসঙ্গেে এই পদে আগ্রহীরা পিএসসির নিকট ওই আবেদন জমা দিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ কোন টালবাহানাই শ্রেণিকক্ষে ফেরাতে পারবেন না শিক্ষকদের
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত প্রভাষক পদে আবেদনবঞ্চিত এক বিপিএড ধারী অভিযোগ করে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আমার দুই পদে আবেদনের জন্য যোগ্যতা আছে; তবে আমরা একই কাগজপত্র দিয়ে জেলা ক্রীড়া অফিসার হিসেবে আবেদন করতে পারলেও শারীরিক শিক্ষা কলেজের প্রভাষক পদে আবেদন করতে পারছি না। এতে বিষয় কোডের স্থলে শুধুমাত্র শারীরিক শিক্ষার কোড থাকার কারণে আমরা অন্যান্য বিষয়ে স্নাতকধারী শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারছি না।’
এই বিষয়ে উক্ত পদে আগ্রহী এই প্রার্থী আরও আভিযোগ করে বলেন, আবেদনের সমস্যার কথা জানিয়ে আমরা একটি আবেদন দিয়েছি; এরপর দুই সাপ্তাহ পেরোলেও এখনো কোন সমাধান পাই নি। এখন এই পদে আবেদনের জন্য হাতে সময় আছে ৬ দিন। কোন সমাধান না পেয়ে হতাশায় রয়েছেন ভুক্তভুগীরা।
এই সমস্যার সমাধান সংক্রান্ত একটি আবেদন পাওয়া গেছে বলে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (নন ক্যাডার) শাহ আলম। তিনি জানান, ‘আবেদন পাওয়ার পর থেকে আমরা বিষয়টি সমাধানে কাজ করছি, তবে এখনো সমাধান করা যায় নি। বিষয়টি সমাধান হতে আরও দুই থেকে তিন দিন সময় লাগবে। সমস্যাটি সমাধান হয়ে গেলে প্রয়োজনে আবেদনের সময় আরও বাড়িয়ে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক।’