আত্মহত্যার আগে ফেসবুকে যা লিখেছিলেন ইউএপি শিক্ষার্থী
রাজধানীর গ্রিনরোডস্থ ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের (ইউএপি) সাত তলা থেকে পড়ে ইমাম হোসেন (২৩) নামে এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার (১৯ মে) সকাল ৮টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার আগে ইমাম হোসেন তার ফেসবুক আইডির শেষ স্টোরিতে একজন মেয়েসহ তিন ব্যক্তির ছবি শেয়ার করেছেন এবং লিখেছেন ‘তার বর্তমান অবস্থার জন্য তারাই দায়ী’।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন ইমাম হোসেন। আজ সকালে তার ৩য় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা ছিল। এ ঘটনার পর ওই পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। মৃত ইমাম হোসেনের বাড়ি ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলায়। বাবার নাম আক্তার হোসেন। কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে ৯৮ নং পূর্ব রাজাবাজারে একটি মেসে থাকতেন।
আরও পড়ুন: চিরকুট লিখে শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে
তার মৃত্যুতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শোক প্রকাশ করেছেন। তারা শোক প্রকাশের পাশাপাশি এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি করেছেন।
ইব্রহিম খলিল জিসান নামে একজন লিখেছেন, ভালোবাসা কত নিষ্ঠুর। বন্ধু কিভাবে পারলি আমাদের সবাইকে রেখে এভাবে একা করে চলে যেতে। আল্লাহ তোকে বেহেশত নসিব করুক। সুইসাইড কি সব সমস্যার সমাধান করে দিল তোর।
আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ তলা ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
সুমাইয়া সানজিদা শিফা নামে তার বিভাগের এক ছাত্রী লিখেছেন, মানুষের জীবনটা কি এতোটাই তুচ্ছ!ইমাম আমার অনেক ক্লোজ জুনিয়র ছিলো, ক্যাম্পাসে দেখা হলেই সালাম দিয়ে কথা বলতো! গত পরশু ও কথা হলো, হাসিখুশি ছেলেটা এভাবে সুইসাইড করবে কখনো ভাবিনি! সুইসাইড আসলেই কোনো সমাধান না!ভালো থেকো! আল্লাহ যেনো তোমাকে জান্নাত নসিব করে!!
তানজীম তামিম নামে আরেকজন লিখেছেন, ভালোবাসা কত নিষ্ঠুর। বন্ধু কিভাবে পারলি আমাদের সবাইকে রেখে এভাবে একা করে চলে যেতে আল্লাহ তোকে বেহেশত নসিব করুক। সুইসাইড কি সব সমস্যার সমাধান করে দিল তোর। তোর এই অবস্থার জন্য যারা দাই তাদের যেনো কঠোর শান্তি হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ে জনসংযোগ কর্মকর্তা বাচ্চু শেখ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত তলা থেকে লাফিয়ে পড়ে ওই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন।
তিনি আরও জানান, নিহত ওই শিক্ষার্থী প্রতিবন্ধী ছিলেন। মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়।
নোট: লাফ দিয়ে নয়, ইমাম হোসেনের মৃত্যু হয়েছে ওই ৭ তলা ভবন থেকে পড়ে। পরবর্তীতে সেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসি টিভি ফুটেজে দেখা যায়।