বাংলাদেশ জাতীয় ফটোগ্রাফিক সোসাইটির সদস্য পদ পেল জিবিপিএস
বাংলাদেশে জাতীয় ফটোগ্রাফিক সোসাইটি'র (বিপিএস) অ্যাফিলিয়েটেড সদস্য পদ পেল গণ বিশ্ববিদ্যালয় ফটোগ্রাফিক সোসাইটি (জিবিপিএস)। গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো সংগঠন জাতীয় পর্যায়ে নথিভুক্ত হলো।
একই সঙ্গে বিপিএস সদস্য পদ পেয়েছে গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ ফটোগ্রাফিক ক্লাব।
আরও পড়ুন: ভর্তিচ্ছুদের দাবি বিবেচনার আশ্বাস, সিদ্ধান্ত আগামী সপ্তাহে
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও গণ বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত পাবলিক হেল্থের বিশেষ ছবি প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ও প্রথম প্রদর্শনীতে বিপিএস সভাপতি আশফাক আহমেদ এই ঘোষণা দেন।
শনিবার (১১ ডিসেম্বর) গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পিএইচএ মিলনায়তনে জিবিপিএস সভাপতি মো. রাকিবুল হাসান ও জিএসভিমেকে ফটোগ্রাফিক ক্লাবের সভাপতি আরিফ ইশতিয়াক’কে প্রত্যয়ন সনদ প্রদান করে সংগঠনটি।
আরও পড়ুন: মুরাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার আবেদন
এ সময় উপস্থিত ছিলেন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) ডা. দেলওয়ার হোসেন, গণস্বাস্থ্যের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. মনজুর কাদির আহমেদ, মনিটরিং এন্ড ইভালুয়েশন বিভাগের পরিচালক ডা. তারিকুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. এস. তাসাদ্দেক আহমেদ, বাংলাদেশের প্রথম স্বর্ণপদক লাভকারী আলোকচিত্রশিল্পী হাসান সাইফুল উদ্দিন চন্দন ও বাংলাদেশ ফটোগ্রাফিক সোসাইটির সদস্যরা।
এ সময় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হোন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপচার্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. লায়লা পারভীন বানু ও ক্যাপ্টেন (অবঃ) ডা. সিতারা বেগম (বীরপ্রতীক)।
আরও পড়ুন: সাত বছরেও কার্যকর হয়নি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা, নামেই দ্বিতীয় শ্রেণি
বিপিএস সভাপতি জানান, গণ বিশ্ববিদ্যালয় ফটোগ্রাফিক সোসাইটি (জিবিপিএস) ও গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ ফটোগ্রাফিক ক্লাব যোগ্যতা বোর্ডের প্রয়োজনীয় মান অর্জন করেছে এবং বাংলাদেশ ফটোগ্রাফিক সোসাইটির ক্লাব সদস্য হিসেবে নথিভুক্ত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে জিবিপিএস সভাপতি মো. রাকিবুল হাসান বলেন, জিবিপিএস প্রতিষ্ঠা লাভ করে ২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর। সংগঠনের বয়স হিসেবে ৩ বছর বেশি সময় নয়। সামনের দিনগুলো জিবিপিএস আলোকচিত্রের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বৃদ্ধি করবে৷ এর জন্য সকলের সহযোগিতা ও সমর্থন প্রত্যাশা করছি।
আরও পড়ুন: যেসব জায়গায় পাওয়া যাবে ফাইভ-জি
স্কুল শিক্ষার্থীদের সমাদৃত কন্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
অনুষ্ঠানের প্রথমে প্রতিযোগিতার ৮ বিজয়ী ও ২১ অনারেবলকে ১ লক্ষ ৮ টাকার প্রাইজমানি, সম্মাননা স্মারক, সনদ, বই ও বাঁধাই করা ছবি সহ বিভিন্ন উপকরণ প্রদান করা হয়।
পরে লাল ফিতা কেটে প্রথম প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের অতিথিরা। অনুষ্ঠানের সমাপনী পর্বে বিজয়ী ছবি নিয়ে প্রকাশিত বইয়ের মোড়ক উন্মোচন এবং বৃক্ষরোপণ করা হয়।
দ্যা পাবলিক হেল্থ প্রকল্পের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়। এছাড়াও আয়োজনের টেকনিক্যাল পার্টনার হিসেবে বাংলাদেশ ফটোগ্রাফিক সোসাইটি এবং সহযোগিতায় ছিল গণ বিশ্ববিদ্যালয় ফটোগ্রাফিক সোসাইটি (জিবিপিএস) ও গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ ফটোগ্রাফিক ক্লাব।