শিক্ষা সফরে থেকেও মামলার আসামি ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী

অনিক আহমেদ হৃদয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো
অনিক আহমেদ হৃদয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো  © ফাইল ছবি

৮ জানুয়ারি রাতে শিক্ষা সফরে ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন অনিক আহমেদ হৃদয়। ৯ জানুয়ারি পৌঁছান সাজেক ভ্যালিতে। একই দিন ৯ জানুয়ারি গাইবান্ধায় এক নারীর মোবাইল ফোন ছিনতাই ও শ্লীলতাহানি করে দুর্বৃত্তরা। ঘটনাস্থলে না থেকেও ওই ঘটনার মামলায় আসামি হয়েছেন হৃদয়। তিনি বেসরকারি ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। পরে আত্মসমর্পন করে জামিন চাইলে আদালত তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বর্তমানে কারাগারেই রয়েছেন তিনি।

জানা গেছে, হৃদয় গাইবান্ধা সদরের দক্ষিণ বানিয়ারজান গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে। তিনি ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা, মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।

মামলার এজহারে বলা হয়েছে, ‘গত ৯ জানুয়ারি হৃদয়সহ মামলার অন্য আসামিরা এক নারীর মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে তাকে শ্লীলতাহানি করে। এ সময় ওই নারীর একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এক পর্যায়ে হৃদয়সহ মামলার অন্য আসামিরা ওই নারীকে একটি মোটরসাইকেলে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়।’

যদিও এই ঘটনার সময় হৃদয় খাগড়াছড়ির সাজেক ভ্যালিতে অবস্থান করছিলেন। হৃদয়ের সহপাঠী এবং পরিবারের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত ৮ জানুয়ারি রাতে শিক্ষা সফরের উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে খাগড়াছড়িতে যান হৃদয় ও তার সহপাঠীরা। এ সময় বিভাগের একাধিক শিক্ষকও তাদের সঙ্গে ছিলেন। শিক্ষা সফর শেষ করে গত ১১ জানুয়ারি গাইবান্ধা যান হৃদয়। পরে আদালতে উপস্থিত হয়ে তিনি জামিন চাইলে আদালত সেটি নামঞ্জুর করে হৃদয়কে কারাগারে পাঠায়।

শিক্ষা সফরে যাওয়া হৃদয়ের সহপাঠী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা, মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের একই ব্যাচের শিক্ষার্থী আহমেদ শিহাব জানান, ‘হৃদয়সহ আমাদের একটি গ্রুপ গত ৮ জানুয়ারি রাতে সাজেকের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। শিক্ষা সফর শেষ করে ১০ জানুয়ারি রাতে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলাম। ১১ জানুয়ারি ভোরে আমরা ঢাকায় পৌঁছাই।’

হৃদয়ের মা মোছা. লাকি বেগম বলেন, ঘটনার দিন আমার ছোট ছেলে শিক্ষা সফরে সাজেকে ছিল। আমার ছেলের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। বড় ভাইয়ের শ্বশুরবাড়ি বাড়ির লোকজনের সঙ্গে পারিবারিক ভাবে সমস্যা হওয়াতে তাকেও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। 

জানতে চাইলে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. শেখ মোহাম্মদ আল্লাইয়ার দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। যদি ওই শিক্ষার্থী প্রকৃতপক্ষে শিক্ষা সফরে যান এবং নির্দোষ হন, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।’

এ বিষয়ে গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীনুর ইসলাম তালুকদার বলেন, ‘মামলার বাদিনীর এজাহারের ভিত্তিতে মামলাটি রুজু করা হয়। শিক্ষা সফরে থেকেও হৃদয়কে মামলার আসামি করা হয়েছে বলে জেনেছি। এ বিষয়ে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’


সর্বশেষ সংবাদ