এনএসইউতে স্বাস্থ্য এবং বার্ধক্যে সার্কাডিয়ান রিদম বিষয়ক সেমিনার

স্বাস্থ্য এবং বার্ধক্যে সার্কাডিয়ান রিদম বিষয়ক সেমিনারে অতিথিবৃন্দ
স্বাস্থ্য এবং বার্ধক্যে সার্কাডিয়ান রিদম বিষয়ক সেমিনারে অতিথিবৃন্দ  © টিডিসি ফটো

বায়োমেডিকেল সায়েন্স এবং বয়স-সম্পর্কিত প্রক্রিয়া বোঝার ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্সেস বিভাগ আয়োজন করে স্বাস্থ্য এবং বার্ধক্যে সার্কাডিয়ান রিদম শীর্ষক সেমিনার। সেমিনারটি বয়স বৃদ্ধিতে সার্কাডিয়ান রিদমের ভূমিকা এবং এর জৈব-আণবিক কার্যপ্রণালীগুলো তুলে ধরে।

বায়োমেডিকেল সায়েন্সের উন্নয়ন এবং বয়স-সম্পর্কিত প্রক্রিয়া বোঝার ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্সেস বিভাগ ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে স্বাস্থ্য এবং বার্ধক্যে সার্কাডিয়ান রিদম শীর্ষক একটি সেমিনারের আয়োজন করে। সেমিনারটি সার্কাডিয়ান রিদম কীভাবে বার্ধক্য প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে তা নিয়ে আলোচনা করে এবং বয়সের সাথে সার্কাডিয়ান ক্লকের দুর্বলতার মূলগত জৈব-আণবিক (মলিকুলার) কার্যপ্রণালী নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারগুলিকে তুলে ধরে।

অনুষ্ঠানের মূল বক্তা ছিলেন ড. ইয়াসুকাজু নাকাহাতা, যিনি জাপানের নাগাসাকি ইউনিভার্সিটির বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সেস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। ড. নাকাহাতা সার্কাডিয়ান জীববিজ্ঞান ক্ষেত্রে একজন স্বনামধন্য বিশেষজ্ঞ। তিনি জাপানের ওসাকা বায়োসায়েন্স ইনস্টিটিউট,  ফ্রান্সের আইজিবিএমসি ইনস্টিটিউট এবং যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, আরভিন-এ পোস্টডক্টরাল গবেষণা সম্পন্ন করেছেন। তার গবেষণা মূলত বার্ধক্য ঘড়ি নিয়ন্ত্রণ এবং কোষীয় স্তরে এর প্রভাব বিশ্লেষণ করে। এছাড়াও তিনি বয়স বৃদ্ধির সাথে সার্কাডিয়ান সিস্টেমের দুর্বলতার কারণসমূহ সম্পর্কে কাজ করে থাকেন।  তিনি বলেন, সর্কাডিয়ান ক্লকের বার্ধক্য ফেরানো সম্ভব। তিনি আরও বলেন, আমাদের দেহে NAD+ (একটি উপাদান যা সর্কাডিয়ান ক্লক নিয়ন্ত্রণ করে এবং বয়স বাড়ার সাথে কমে যায়) প্রবেশ করানো সম্ভব।

সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর আব্দুল হান্নান চৌধুরী,  স্কুল অব হেলথ অ্যান্ড লাইফ সায়েন্সেস-এর ডিন ড. দীপক কুমার মিত্র, এবং ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্সেস বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ হোসেন শারিয়ার। প্রফেসর ড. মোহাম্মদ হোসেন শারিয়ার একাডেমিয়া এবং শিল্পক্ষেত্রের মধ্যকার সেতুবন্ধন তৈরি করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। ডিন, ড. দীপক কুমার মিত্র যোগ করেন, যদি এই গবেষণার ফলাফল গৃহীত এবং আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যবহার করা হয়, তবে আমাদের দীর্ঘায়ু হতে পারে।

সেমিনারে আরও ছিল একটি ইন্টার‍্যাক্টিভ প্রশ্নোত্তর পর্ব, যেখানে শিক্ষার্থীরা মূল বক্তার সঙ্গে সরাসরি আলোচনার সুযোগ পায়। সেমিনারটি অত্যন্ত সফলভাবে সম্পন্ন হয়, যা শিক্ষণ, উদ্ভাবন এবং বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের একটি পরিবেশ তৈরির পথকে সুগম করে।


সর্বশেষ সংবাদ