গ্লোবাল বিজনেস সিমুলেশন প্রতিযোগীতায় ইউআইইউর ২য় স্থান অর্জন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৪, ০৬:১৪ PM , আপডেট: ২৪ জুন ২০২৪, ০৬:১৫ PM
ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ‘টিম এ’ কোম্পানি গেম দ্বারা আয়োজিত গ্লোবাল বিজনেস সিমুলেশন চ্যালেঞ্জ - রেটো ২০২৪ প্রতিযোগিতায় ২য় স্থান অর্জন করেছে। প্রতিযোগীতার ফাইনাল রাউন্ড সম্প্রতি স্পেনের বার্সেলোনায় ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়।
রেটো বিজনেস সিমুলেশন চ্যালেঞ্জ একটি ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্ম যা বাস্তব জীবনের অর্থনৈতিক এবং ব্যবসায়িক কাজের প্রতিফলন করে প্রতিযোগীদের একটি ভার্চুয়াল সেটিংয়ে ব্যবসা পরিচালনা করতে দেয়। উক্ত প্রতিযোগীতায় স্পেন, কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, পেরু, মেক্সিকো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ভারতসহ ৩০টিরও বেশি দেশের প্রায় ১৮,০০০ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। প্রাথমিক বাছাই পর্বে ইউআইইউ থেকে ১৪ টি দল নির্বাচিত হয়ে বিশ্বের ১৭৫টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।
বিভাগীয় পর্বে, প্রতিযোগিতায় ব্যবসার বিভিন্ন ধরনের উপর আলোকপাত করে যেমন বিপণন দলগুলি গেম কনসোল, ট্যাবলেট এবং স্মার্ট ফোনের মতো পণ্যগুলির জন্য মূল্য নির্ধারণের কৌশল এবং প্রচারমূলক কার্যক্রম তৈরি করেছিলো। এ সময় ফিনান্স দলগুলি মূলধন কাঠামো এবং পণ্যের জন্য বিনিয়োগের সুযোগ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
ইউআইইউ’র ‘টিম এ’ গ্লোবাল বিজনেস সিমুলেশন চ্যালেঞ্জে -রেটোতে অনন্য সাফল্য প্রদর্শন করেছে। বিভাগীয় পর্বে, তারা মার্কেটিং বিভাগে বিশ্বে প্রথম স্থান অর্জন করে মূল পর্ব বা চ্যাম্পিয়নশিপ পর্বে উন্নীত হয়। ফাইনাল রাউন্ড বা চ্যাম্পিয়নশীপ পর্বে ‘টিম এ’ জুতা, হ্যান্ডব্যাগ এবং আনুষাঙ্গিক পন্য উৎপাদনকারী কোম্পানি পরিচালনা করে এবং এটার ব্যবসায়িক সফস্য, আন্তর্জাতিকরণ ও দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য অর্জন এবং কৌশলগত নান ধারনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে। চূড়ান্ত পর্বে ‘টিম এ’ যুক্তরাজ্য, ভারত, মেক্সিকো, পেরু থেকে অংশগ্রহণকৃত শীর্ষ আটটি দলের মধ্যে ২য় স্থান অর্জন করে।
‘টিম এ’ এর সদস্যরা হলেন ইউআইইউ স্কুল অফ বিজনেস এন্ড ইকোনোমিক্সের তিন মেধাবী শিক্ষার্থী আবির মোহম্মদ সাদ, জয়ন্ত সরকার, এবং আসিয়া বেগম। তাদের কৃতিত্বের ফলস্বরূপ স্পেনের জিবিএসবি গ্লোবাল বিজনেস স্কুলে মাস্টার্স বা এমবিএ প্রোগ্রামের জন্য ৮৫% পর্যন্ত টিউশন ফি বৃত্তি, বিজনেস এক্সিলেন্সের একটি প্রশংসাপত্র এবং ৬০০ ডলার মূল্যে অ্যামাজন গিফট কার্ড পেয়েছে।
এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ইউআইইউর শিক্ষা ক্ষেত্রে নতুন নতুন উদ্ভাবনের পাশাপাশি বাংলাদেশের ব্যবসায়িক সেক্টরে উন্নয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।