আইইউবিতে দেশের প্রথম নারী স্কোয়াশ টুর্নামেন্ট

বর্তমান সময়ে ফুটবল ক্রিকেট উত্তেজনার মাঝে স্কোয়াশ কখনোই গণমানুষের খেলা হয়ে উঠে নি, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বিষয়টা আরও জটিল। আমাদের দেশে স্কোয়াশ মূলত অভিজাতদের খেলা হিসেবেই পরিচিত। সেখানে মেয়েদের অংশগ্রহণ নেই বললেই চলে। ‘অভিজাত খেলা’ আর ‘ছেলেদের খেলা’—এই দুটি পরিচয়কেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে টুর্নামেন্টের আয়োজন করলো ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (আইইউবি)।

ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ৩১ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক মানের একটি স্কোয়াশ কোর্ট উদ্বোধন করা হয়েছে। এর এক মাসের মধ্যেই আয়োজিত হলো বাংলাদেশের প্রথম নারী স্কোয়াশ টুর্নামেন্ট। বাংলাদেশ স্কোয়াশ র‍্যাকেট ফেডারেশনের সহযোগিতায় আয়োজিত এই টুর্নামেন্টে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ৬০ জন মেয়ে অংশ নেয়।

এর মধ্যে ১০ জন এসেছে গোপালগঞ্জ ও খাগড়াছড়ি জেলা থেকে। আশ্চর্যজনকভাবে এরা কেউই এর আগে স্কোয়াশ কোর্টে খেলেনি। খেলেছে ফাঁকা ক্লাসরুমকে ‘স্কোয়াশ কোর্ট’ বানিয়ে। এটি সম্ভব হয়েছে বাংলাদেশ স্কোয়াশ ফেডারেশনের নেওয়া অভিনব এক উদ্যোগের কারণে। স্কোয়াশকে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে ‘ক্লাসরুম স্কোয়াশ’ নামে একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে দেশের কয়েকটি জেলায়। তারই ফসল হিসেবে ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম নারী স্কোয়াশ টুর্নামেন্ট দেখেছে খাগড়াছড়ি থেকে প্রতিযোগী। চ্যাম্পিয়নও হয়েছে তাদের কেউ কেউ।

আইইউবির উপাচার্য অধ্যাপক তানভীর হাসান বলেছেন, ‘২০২৮ সালের অলিম্পিকে প্রথমবারের মতো অন্তর্ভুক্ত হতে যাচ্ছে স্কোয়াশ। আমাদের আশা, সেখানে যারা স্কোয়াশে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে, তাদের মধ্যে বেশির ভাগই হবে আইইউবি শিক্ষার্থী, বিশেষ করে নারী বিভাগে।

আইইউবিতে স্কোয়াশ কোর্ট নির্মাণ, কয়েকজন তরুণ খেলোয়াড়কে শতভাগ স্কলারশিপে ভর্তি করা এবং তাদের পরিচর্যা ও সম্ভাব্য সেরা প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে পেশাদার কোচ নিয়োগ দেওয়া—এসবই করা হয়েছে সেই লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে।’

টুর্নামেন্টে খেলা হয়েছে অনূর্ধ্ব-৯, ১১, ১৩, ১৫ ও ওপেন—এই ৫টি শ্রেণিতে। দুই দিনের এই টুর্নামেন্ট শেষ হয়েছে আজ বিকেলে। ফাইনাল শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দিয়েছেন আইইউবির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান দিদার এ হোসেইন, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য এ কাইয়ুম খান, উপাচার্য অধ্যাপক তানভীর হাসান, প্রথম আলোর প্রধান ক্রীড়া সম্পাদক উৎপল শুভ্র ও বাংলাদেশ স্কোয়াশ র‍্যাকেট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) কামরুল ইসলাম। টুর্নামেন্টটি সফলভাবে শেষ করার জন্য নিরলসভাবে পরিশ্রম করেছে আইইউবির ডিভিশন অফ স্টুডেন্ট অ্যাফেরাস।


সর্বশেষ সংবাদ