ইউজিসি ফেলোশিপ পেলেন ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির ফায়াজুন্নেসা

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সিএসই বিভাগের প্রভাষক ফায়াজুন্নেসা চৌধুরী
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সিএসই বিভাগের প্রভাষক ফায়াজুন্নেসা চৌধুরী  © টিডিসি ফটো

ইউজিসি পিএইচডি ফেলোশিপ প্রোগ্রামে (২০২২-২৩) চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক ফায়াজুন্নেসা চৌধুরী। গত সোমবার (২২জানুয়ারি) বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

ইউজিসি পিএইচডি ফেলোশিপ প্রোগ্রামের (২০২২-২৩) আওতায় দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ৫৫ জনকে মনোনীত করা হয়। সে তালিকায় ফায়াজুন্নেসা চৌধুরীর গবেষণা প্রস্তাবনাও স্থান পায়।

ফায়াজুন্নেসা চৌধুরী বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কোটা হতে সিএসই বিভাগ থেকে নারী হিসেবে তিনিই প্রথম এই ফেলোশিপ অর্জন করেছেন। তিনি মূলত মেশিন লার্নিং ও ডেটা সায়েন্স প্র‍য়োগ করে কৃষি খামারিদের জন্য উন্নয়নমূলক একটি ভিন্নধর্মী বিষয় নিয়ে গবেষণা করছেন। যা ফলপ্রসূ হলে তৃণমূল পর্যায় থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষ উপকৃত হবে।

ফেলোশিপ প্রাপ্তির বিষয়ে তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, বাংলাদেশে গবেষক ও গবেষণার হার বৃদ্ধিকরণে সর্বোচ্চ অনুপ্রেরণা ও সম্মান প্রদানের পরিকল্পিত দূরদর্শী দৃষ্টান্তের নাম বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। আমার মতো যাদেরকে পেছন থেকে টেনে সামনে নিয়ে আসার কেউ নাই তাদের জন্য এ ধরনের সুযোগ অনেক ইতিবাচক। যাদের প্রফেশনাল ক্যারিয়ার খুব মসৃণ নয় তাদের জীবনেও শত পরিশ্রম, ক্লান্তি, আর হতাশা ছাপিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ অস্তিত্বের সদুত্তরগুলো একটু দেরি করে হলেও আসে। 

May be an image of 1 person and headscarf

তিনি বলেন, মহান সৃষ্টিকর্তার পরেই আমি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি আমার সম্মানিত সুপারভাইজার স্যার যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির চেয়ারম্যান ও সিএসই ডিপার্টমেন্টের হেড, স্বনামধন্য গবেষক অধ্যাপক ড. সৈয়দ গালিব স্যারের কাছে। যার নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও তত্ত্বাবধানে একটি সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়ের উপর আমি উচ্চতর গবেষণাটি করার সাহস পাচ্ছি ও গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যাচ্ছি। স্যার আমাকে ফেলোশিপের সার্কুলার টা দিয়েছিলেন গত বছরের শুরুতে। আমি আবেদন করেছিলাম অ্যাপ্লিকেশন জমাদানের শেষ দিনে। কল্পনাও করি নাই যে ফেলোশিপটি আমি পাবো।

তিনি আরও বলেন, ইউজিসির এই ফেলোশিপ অবশ্যই আমার গবেষণা কার্যক্রমে আরও গভীরভাবে মনোনিবেশ করতে উৎসাহিত করবে। এই ধরনের সহযোগিতা চলমান থাকলে গবেষণার প্রতি সর্বস্তরের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে।


সর্বশেষ সংবাদ