ইংরেজি ভাষায় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে মুখোমুখি দেশের পাঁচ হাজার তরুণ

ইংরেজি ভাষাজ্ঞানকে সমৃদ্ধ করতে ইংলিশ অলিম্পিয়াড
ইংরেজি ভাষাজ্ঞানকে সমৃদ্ধ করতে ইংলিশ অলিম্পিয়াড  © টিডিসি ফটো

দেশের তরুণদের ইংরেজি ভাষাজ্ঞানকে আরও সমৃদ্ধ করতে শুরু হয়েছে ইংলিশ অলিম্পিয়াড। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) বেসরকারি ইউনাইটেড ইন্টান্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) ক্যাম্পাসে আয়োজনের এবারের আসরের চূড়ান্ত পর্ব (ফাইনাল রাউন্ড) শুরু হয়েছে। আগামীকাল শনিবার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দু-দিন ব্যাপী এবারের আসরের পর্দা নামার কথা রয়েছে।

আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত বছরের মার্চে দেশব্যাপী বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে অলিম্পিয়াডের বাছাই পর্ব সম্পন্ন হয়েছে। সেখান থেকে নির্বাচিত প্রতিযোগীরাই আজকের মূল পর্বে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে। প্রতিযোগিতার বিভিন্ন পর্যায়ের স্পোকেন ও লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দিতে পারবেন। 

ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের নিয়ে কিডজ থেকে শুরু করে স্মল-স্টার, জুনিয়রস, সিনিয়রস, হাই ফ্লাওয়ারস এবং উচ্চশিক্ষালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ট্রেইল-ব্লেজারস'সহ মোট ছয়টি বিভাগে প্রতিযোগীরা শ্রেষ্ঠত্বের এ লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়েছে। সকাল থেকে শুরু হওয়া ফাইনাল রাউন্ডে প্রতিযোগীরা লড়াইয়ের সুযোগ পাবেন বিকেল চারটা পর্যন্ত। আসরের শুরুর দিনে বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতা এবং শেষ দিনে থাকবে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। 

প্রতিযোগিতার শুরুতে প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষার্থী থাকলে চূড়ান্ত পর্বে মুখোমুখি হয়েছে পাঁচ হাজারের মতো শিক্ষার্থী। ইংলিশ অলিম্পিয়াডের চূড়ান্ত পর্বের চ্যাম্পিয়ন পাবেন ৩ লাখ টাকার সম্মাননা, মেডেল ও সার্টিফিকেট। এছাড়াও ফাইনালের সকল শিক্ষার্থীই পাবেন একটি করে মেডেল ও সার্টিফিকেট। পাশাপাশি শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিযোগীরা পেতে পারেন দুবাইয়ে আয়োজিত আসরের পরবর্তী কোনো আয়োজনে।

আয়োজনের বিষয়ে জানতে চাইলে ইংলিশ অলিম্পিয়াডের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার আমান সুলাইমান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমরা আয়োজনের শুরু থেকেই দেশের শিক্ষার্থীদের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। 'থিংক ইন ইংলিশ' ধারণাকে জনপ্রিয় করার প্রত্যয়ে আমরা এটি শুরু করি। 

অলিম্পিয়াডে শুধু ইংরেজি শেখালেই হবে না জানিয়ে আমান সুলাইমান বলেন, সেজন্য আমাদের এবারের মূল থিম রাখা হয়েছে 'ন্যানোটেকনোলজি'। ফলে প্রতিযোগীরা এখানে প্রযুক্তি শেখার সুযোগ পাচ্ছে। আমাদের স্লোগানই হচ্ছে 'নেতৃত্বে উদ্বুদ্ধ করা'। আমরা নেতৃত্বটাকে বাস্তবিক অর্থে শেখানোর চেষ্টা করছি। আমরা ইংরেজি শেখাচ্ছি না, বরং বিষয়টিকে সংযুক্ত করার চেষ্টা করছি। অংশগ্রহণকারীরা স্বাভাবিকভাবেই ইংরেজিটা সহজে শেখার সুযোগ পাচ্ছে। 

দেশীয় শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ভাষাজ্ঞানকে আরও সমৃদ্ধ ও দৃঢ় করার প্রত্যয়ে ২০১৬ সালে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করে ইংলিশ অলিম্পিয়াড। শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের ব্যাপক সাড়া পাওয়া এ আয়োজনটি বর্তমানে দেশের সীমানা পেরিয়ে কাজ করছে বিশ্ব দরবারেও। ১০৩ টি দেশে ছড়িয়ে যাওয়া ইংলিশ অলিম্পিয়াডের নিয়মিত আসর অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৪২টি দেশে।


সর্বশেষ সংবাদ