জেডএনআরএফ ইউনির্ভাসিটিতে ‘ভবিষ্যতে চাকরির বাজারের নেতৃত্বের কৌশল’ শীর্ষক সেমিনার

সেমিনারে বক্তব্য রাখছে উপাচার্য
সেমিনারে বক্তব্য রাখছে উপাচার্য  © টিডিসি ফটো

জেডএনআরএফ ইউনির্ভাসিটি অব ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেস (জুমস্) এ ‘‘Leadership Tricks for Future Job Market’’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর ২০২৩) বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিনারটির আয়োজন করা হয়।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. জুবায়দুর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্কুল অব হিউম্যানিটিস এন্ড স্যোসাল সায়েন্সেস-এর ডিন সীমা হায়দার চৌধুরী। সেশন চেয়ার হিসাবে বক্তব্য রাখেন সেন্টার ফর লাইফ লং লার্র্নিং-এর ডিরেক্টর সৈয়দ আব্দুল আজিজ, প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন আদনান ব্লগের ফাউন্ডার এবং ডিজিটাল মার্কেটিং ইপিআইইউপিএস গ্রুপের ম্যানেজার ভিডিও ক্রিয়েটর মোশারফ হান্নান। উক্ত অনুষ্ঠানে জেডএনআরএফ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বর্ষের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য ড. জুবায়দুর রহমান বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ভবিষ্যত জব মার্কেটের যোগ্য করার কাজ করে যাচ্ছে। এই সেমিষ্টারে যারা তৃতীয় বর্ষে পদার্পন করেছে, তারেদেকে ইন্ডাস্ট্রি এটাচমেন্ট দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে বিভাগীয় শিক্ষকেরা তাদের ছাত্রছাত্রীদের মনোনীত করেছেন। যে সকল ছাত্রছাত্রীরা ইন্ডাষ্ট্রিতে যাবে এবং কাজ শিখবে, ওই ইন্ডষ্ট্রি তাদেরকে ডিগ্রী সম্পন্ন করার সাথে সাথেই ফুল টাইম চাকরী প্রদান করবে। তিনি শিক্ষার্তীদের উদ্দেশ্যে বলেন যারা ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য তৈরী হচ্ছে তাদেরকে ইথিক্যাল লীডারশীপের স্কিলগুলো অর্জন করতে হবে। তাহলেই তারা দুনিয়াতে স্মরনীয় হযে উঠবে।
 
মোশারফ আদনান তার বক্তব্যে ছাত্র ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, সাফেল্যের জন্য দক্ষতা, শিক্ষা এবং উপার্জনের জন্য নিজেকে যোগ্য হতে হবে। তার জন্য কমিউনিকেশন স্কিল, যথাযথ শিক্ষাগ্রহণ, সকলের সাথে সুন্দরভাবে মিলেমিশে থাকা এবং সততার সাথে নিজেকে উপস্থাপন করার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। তাহলেই লক্ষ্যে পৌছাঁতে পারবে।   
সীমা হায়দার চৌধুরী তার বিশেষ বক্তব্যে শিক্ষনবীশদের লীডারশীপ ট্রিক্টস সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন। লীডার হতে গেলে তাকে কতগুলো গুণসম্পন্ন হতে হয় যেমন- উপস্থিত বুদ্ধি, নমনীয়তা এবং বন্ধুত্বপূর্ন আচরন, টীম ওয়ার্ক, প্রবলেম সলভিং মনোভাব ইত্যাদি।  প্রাসঙ্গিকভাবে তিনি তার বৈচিত্রময় জীবনের অভিজ্ঞতাও ছাত্রছাত্রীদের কাছে তুলে ধরেন।

সৈয়দ আব্দুল আজিজ সমপাপনি বক্তব্যে বলেন, বর্তমান এই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষর্থীর মনোভাব পরিবর্তনের কাজ করছে।এই বিশ্ববিদ্যালয়টি হলো ‘ইউনির্ভাসিটি অব ইনোভেশন‘ তা প্রমান করে শিক্ষার্থীদের কাজ শেখার মানসিকতা তৈরীর প্রচেষ্টা, শিক্ষা কারিকুলাম এবং শিক্ষা প্রদান করার পদ্ধতি।


সর্বশেষ সংবাদ