বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়

ট্রাস্টি বোর্ডে এক তৃতীয়াংশ শিক্ষাবিদ রাখার প্রস্তাব

ইউজিসি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়
ইউজিসি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ফটো

দেশের বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে ওঠা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পরিচালনায় মূল দায়িত্ব থাকে ট্রাস্টি বোর্ডের ওপর। তবে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করা, পরিবারকরণসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে ট্রাস্টিদের বিরুদ্ধে। এসব কারণে ট্রাস্টি বোর্ডে শিক্ষাবিদদের অন্তর্ভুক্তির উদ্যোগ নিয়েছে তদারক সংস্থা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)।

জানা গেছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা আইন-২০১০ সংশোধনী আনা হচ্ছে। প্রস্তাবিত খসড়া আইনে মোট ট্রাস্টিদের এক তৃতীয়াংশ শিক্ষাবিদ রাখতে হবে বলে বলা হয়েছে।

ইউজিসি বলছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যরা অধিকাংশই ব্যবসায়ী। তাদের মুনাফা অর্জনের মনোভাবের কারণে অ্যাকাডেমিক পরিবেশ নষ্ট হয়। ট্রাস্টি বোর্ডে শিক্ষাবিদরা থাকলে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশের পাশাপাশি শিক্ষা বান্ধব ক্যাম্পাস তৈরি হবে। এজন্য সংশোধিত আইনে ট্রাস্টি বোর্ডে এক তৃতীয়াংশ শিক্ষাবিদ রাখার কথা বলা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইউজিসি সদস্য (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়) অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ট্রাস্টিদের অধিকাংশই শিক্ষাবিদ। সেজন্য বেসরকারিতেও শিক্ষাবিদদের অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ট্রাস্টিদের সবাই যদি ব্যবসায়ী কিংবা রাজনীতিবিদ হন তাহলে অ্যাকাডেমিক পরিবেশ ঠিক থাকে না। শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে ট্রাস্টি বোর্ডে শিক্ষাবিদ থাকা জরুরি। শিক্ষাবিদরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গবেষণামুখী করে তুলবে।

খসড়ায় আইনের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যরা সভায় বসতে সিটিং অ্যালাউন্স নিতে পারবেন না। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার জন্যও কোনো অর্থ নিতে পারবেন না। এছাড়া ট্রাস্টি ও তাদের পরিবারের সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো লাভজনক পদেও থাকতে পারবেন না।

খসড়ায় আনা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে রয়েছে— বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে এমন কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে পর্যবেক্ষক নিয়োগের জন্য সরকার বা ইউজিসিকে ক্ষমতা দেওয়া।

এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক বিশ্বজিৎ বলেন, পর্যবেক্ষক নিয়োগের বিষয়টি একেবারে শেষ পর্যায়ের। যখন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের পরিস্থিতি তৈরি হবে, অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম ব্যহত হয় কিংবা প্রশাসন সংকটের মুখোমুখি হবে অথবা কোনো ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে তখন পর্যবেক্ষণ নিয়োগ দেওয়া হবে। এটি শিক্ষা মন্ত্রণালয় কিংবা ইউজিসি দিতে পারবে—এমন প্রস্তাবনা করা হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence