দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা এখন ১১৪
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৩, ০৬:৫২ PM , আপডেট: ১৬ জুন ২০২৩, ০৭:০৫ PM
লালন বিজ্ঞান ও কলা বিশ্ববিদ্যালয় নামে দেশে আরও একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। সাধক লালন ফকিরের নামে কুষ্টিয়ায় নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নতুন অনুমোদন পাওয়া এই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১৪টিতে।
সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা-১ থেকে পাঠানো এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সর্বশেষ অনুমোদন পাওয়া ‘লালন বিজ্ঞান ও কলা বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া’র বিষয়টি জানা গেছে।
আরো পড়ুনঃ কুষ্টিয়ায় লালনের নামে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন
মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ড. মো. ফরহাদ হোসেন স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ধারা অনুযায়ী বর্ণিত শর্তসমূহ প্রতিপালন সাপেক্ষে প্রস্তাবিত ‘লালন বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া স্থাপনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
প্রজ্ঞাপন আরো জানা গেছে, কুষ্টিয়ার হাউজিং এস্টেট এলাকায় প্রতিষ্ঠিত হবে এই বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান হবেন মিসেস ফৌজিয়া আলম। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) অনুমোদিত সকল নীতিমালা অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয়টি পাঠদানে যেতে পারবে।
লালন বিজ্ঞান ও কলা বিশ্ববিদ্যালয় সর্বশেষ অনুমোদন পাওয়া ১১৪তম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। গতমাসের শেষের দিকে ‘বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি, কাদিরাবাদ’ নামে নাটোরের কাদিরাবাদ সেনানিবাসেও নতুন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের অনুমোদন দেয় সরকার।
এছাড়াও চলতি বছরে ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজি বাংলাদেশ; তিস্তা ইউনিভার্সিটি; বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি, খুলনা; নামে তিনটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। সব মিলিয়ে চলতি বছরের এ পর্যন্ত ৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
বর্তমানে ১১৪টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ১০০টি চালু রয়েছে। তবে নানা জটিলতায় ৪টি বিশ্ববিদ্যালয় এখনও শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি। এছাড়া মামলা জটে বন্ধের উপক্রম আরও প্রায় ৪ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়া একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী সংকটে ধুঁকছে। আর্থিক সংকট, অনিয়মে আরও বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থাও করুণ। গুটিকয়েক বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতীত অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বেতন দিতেও হিমশিম খাচ্ছে।