এন্টিবায়োটিক মানুষের জন্য মরণঘাতি হয়ে উঠেছে: যবিপ্রবি উপাচার্য

ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে 'অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স বিষয়ক ' আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে 'অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স বিষয়ক ' আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত   © টিডিসি ফটো

এন্টিবায়োটিক মানুষের জন্য মরণঘাতি হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আনোয়ার হোসেন।

রবিবার (১৯ মার্চ) বিকাল ৪ টায় ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসি ডিপার্টমেন্টের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাসে ' মঞ্জুর এলাহী অডিটোরিয়ামে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স বিষয়ক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, অ্যান্টিবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া, ফানগি ,ভাইরাস রোগজীবাণুর মৃত্যু ঘটায়। কিন্তু ধীরে ধীরে বিভিন্ন প্রকার ব্যাকটেরিয়া অ্যান্টিবায়োটিক এর বিরুদ্ধে রেসিস্টেন্স হতে শুরু করে । বর্তমানে পুরো পৃথিবীতে এর প্রভাব বিস্তার ঘটছে এবং এটা মানুষের জন্য মরণঘাতি হয়ে উঠেছে।

তিনি আরও বলেন, অ্যান্টিবায়োটিক এর মিসইউস, যত্রতত্র ব্যবহার, সহজে ক্রয়লভ্য, পরিবেশ দূষণ, দেশের বিভিন্ন জায়গায় ময়লা আর্বজনা ফেলা যার কারণে নতুন নতুন ব্যাকটেরিয়ার পরিমান বেড়ে উঠেছে এবং এগুলো রেসিস্টেন্স হয়ে উঠছে। তাই তিনি এসব কারনগুলো কমানোর তাগিদ দেন এবং ডাক্তারদের যত্রতত্র অ্যান্টিবায়োটিক না লিখার আহ্বান জানান। 

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক  ড. এম. এম. শহীদুল হাসান। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের মাননীয় সচিব ড. মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।

এ সময় তিনি বলেন, যত্রতত্র অ্যান্টিবায়োটিক লিখা ও রোগীদের সে অ্যান্টিবায়োটিক কোর্স শেষ না করা, অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার, অদক্ষ ব্যাক্তি দ্বারা অ্যান্টিবায়োটিক লিখা, বিনা প্রেসক্রিপশনে অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রয় করার কারণে এর তা আমাদের কাছে সহজে এসে পড়ছে৷ 

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের সম্মানিত চেয়ারম্যান মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী।

সভায় তিনি বলেন, প্রত্যেকটি হাসপাতালের প্রেসক্রিপশনে অ্যান্টিবায়োটিক প্রোটোকল থাকা যাতে করে ডাক্তাররা তা অনুশীলন করতে পারে, ফার্মেসিতে প্রোটোকল প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রয় না করা, যতদূর সম্ভব হাসপাতালে গ্রাজুয়েট ফার্মাসিস্ট নিয়োগ দেওয়া, সত্যিকার অর্থে মডেল ফার্মেসি তৈরি করা এবং জনসচেতনতা সৃষ্টি করা তবেই আমরা অ্যান্টিবায়োটিক রেসিস্টেন্ট প্রতিরোধ করা সম্ভব।  

আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এ সময় তিনি বলেন, অ্যান্টিবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া, ফানগি ,ভাইরাস রোগজীবাণুর মৃত্যু ঘটায়। কিন্তু ধীরে ধীরে বিভিন্ন প্রকার ব্যাকটেরিয়া অ্যান্টিবায়োটিক এর বিরুদ্ধে রেজিস্ট্যান্স হতে শুরু করে। বর্তমানে পুরো পৃথিবীতে এর প্রভাব বিস্তার ঘটছে এবং এটা মানুষের জন্য মরণঘাতি হয়ে উঠেছে।

তিনি আরও বলেন, অ্যান্টিবায়োটিক এর মিসইউজ, যত্রতত্র ব্যবহার, সহজে ক্রয়লভ্য, পরিবেশ দূষণ, দেশের বিভিন্ন জায়গায় ময়লা আর্বজনা ফেলা যার কারণে নতুন নতুন ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বেড়ে উঠেছে এবং এগুলো রেজিস্ট্যান্স হয়ে উঠছে। তাই তিনি এসব কারণগুলো কমানোর তাগিদ দেন এবং ডাক্তারদের যত্রতত্র অ্যান্টিবায়োটিক না লিখার আহ্বান জানান। 

সভায় অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জিয়াউল হক মামুন, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ এয়ার কমডোর (অব:) ইশফাক এলাহী চৌধুরী, অনুষদ ডিন, আইসিডিডিআরবি সদস্য, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, ফার্মেসি ডিপার্টমেন্টের সাবেক চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. চৌধুরী ফয়েজ হোসেন, অধ্যাপক ড. শামসুন নাহার খান, সহযোগী অধ্যাপক ড. ফারহানা রিজওয়ান, সহযোগী অধ্যাপক ড. নাজিয়া হক, সহযোগী অধ্যাপক ড. রেজিনা আফরিন, সহকারী অধ্যাপক ড. ফারজানা খাতুন, সহকারী অধ্যাপক ও এসিস্ট্যান্ট প্রক্টর ড. শওকত আমিনুল ইসলাম সহ ফার্মেসি ও অন্যান্য ডিপার্টমেন্টের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাবৃন্দ।


সর্বশেষ সংবাদ