সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে প্রাথমিকে বার্ষিক পরীক্ষা ডিসেম্বরে

 প্রাথমিকের শিক্ষার্থী
প্রাথমিকের শিক্ষার্থী  © ফাইল ছবি

করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন বিদ্যালয় বন্ধ থাকার পর গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ক্লাসে পাঠদান শুরু হয়েছে। চলতি বছরের তিন মাস কেন্দ্র করে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস পড়ানো হচ্ছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ক্লাস অনুযায়ী যতটুকু জ্ঞান অর্জন জরুরি তার ওপর ভিত্তি করে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরি করা হয়েছে। সেটি পড়ানোর পর দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ডিসেম্বরে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মুনসুরুল আলম বলেন, বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় আমরা দুটি সাময়িক পরীক্ষা নিতে পারিনি। বর্তমানে শিক্ষার্থীদের ক্লাসভিত্তিক শিখন জ্ঞান অর্জনে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস পড়ানো হবে। স্তর অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা শিখতে সক্ষম হয়েছে কি না তা নিশ্চিত করতে আমরা ডিসেম্বরে বার্ষিক পরীক্ষা নেবো।

তিনি বলেন, পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তুতিও আমাদের ছিল। সময় স্বল্প হওয়ায় এ সময়ের মধ্যে পরীক্ষা আয়োজন ও ফলাফল প্রকাশ করা কঠিন হয়ে যাবে বলে এ পরীক্ষা বাতিলে প্রাধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রধানমন্ত্রী সেটিতে অনুমোদন দিলে পঞ্চম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা নিয়ে সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। অন্য স্তরেও বার্ষিক পরীক্ষা নিয়ে পরবর্তী ক্লাসে তোলা ও তাদের রোল নম্বর নির্ধারণ করা হবে।

মহাপরিচালক আরও বলেন, বার্ষিক পরীক্ষা আয়োজন করার বিষয়ে মাঠ কর্মকর্তা ও শিক্ষকদের এখনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। কিছুদিনের মধ্যে এ নির্দেশনা পাঠানো হবে। পরীক্ষা আয়োজনসহ সবকিছু করোনা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে।

এদিকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষা সমাপনী পিইসি ও ইবতেদায়ি পরীক্ষা বাতিলের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি পেলে এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ঘোষণা দেওয়া হবে।

 


সর্বশেষ সংবাদ