খোলার আগেই নদীগর্ভে বিলীন হতে পারে পাঁচটি প্রাথমিক স্কুল
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১১:০৮ AM , আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১১:০৮ AM
আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে সারা দেশে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রথম দিকে দৈনিক ৪-৫ ঘণ্টা ক্লাস হলেও পর্যায়ক্রমে ক্লাসের সময় ও সংখ্যা বাড়ানো হবে বলেও জানানো হয়। শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরুর আগে ভাঙন ঝুঁকিতে পড়েছে ফরিদপুরের নদী তীরবর্তী পাঁচটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ফরিদপুরে এখন বিপদসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। যে পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভাঙন ঝুঁকির মুখে, সেগুলোর সবকটিই যেকোনো মুহূর্তে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
পদ্মা ও মধুমতীর ভাঙন ঝুঁকিতে থাকা স্কুল পাঁচটি হচ্ছে, আলফাডাঙ্গা উপজেলার পাঁচুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাজরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পশ্চিম চর নারাণদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরভদ্রাসন উপজেলার সদর ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গী গ্রামের বালিয়াডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চরহরিরামপুর ইউনিয়নের সবুল্লাহ শিকদারের ডাঙ্গী গ্রামের সবুল্লাহ শিকদারের ডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
গোপালপুর ইউনিয়নের মনিরুজ্জামান ইকু বলেন, মধুমতি নদী তীর ভাঙতে ভাঙতে বাজরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খুব কাছাকাছি চলে এসেছে। এরইমধ্যে স্কুল-সংলগ্ন পাকা রাস্তাটি নদীভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। নদী থেকে স্কুলের দূরত্ব মাত্র তিন/চার মিটার। দ্রুত এ ভাঙন রোধ করা না গেলে স্কুলটি যেকোনো সময় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে।
ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ বলেন, পানি বাড়ার সঙ্গে জেলার বেশ কয়েকটি জায়গায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। কয়েকটি স্কুল নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিভিন্ন স্থানে নদীভাঙন রোধে কাজ চলছে। প্রয়োজনে নতুন করে ঝুঁকিপূর্ণ ভাঙনপ্রবণ স্থানে আবারও জিও ব্যাগ ফেলা হবে বলেও জানান তিনি।