ইএফটিতে বেতন পেতে প্রাথমিক শিক্ষকদের যেসব কাগজপত্র জমা দিতে হবে

  © লোগো

২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন-ভাতাদি অনলাইনে দাখিল এবং স্ব স্ব ব্যাংক হিসাবে ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (ইএফটি) এর মাধ্যমে পরিশোধের লক্ষ্যে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সে লক্ষ্যে ‘আইবাস প্লাস প্লাস’-এ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য ডাটবেজ তৈরি করা আবশ্যক। শিক্ষকদের ডাটাবেজ তৈরি ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।

আজ সোমবার (৭ ডিসেম্বর) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর থেকে একটি নির্দেশনা প্রকাশ করা হয়। এতে দেশের সকল উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসারদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়, উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিস ক্লাস্টারভিত্তিক শিক্ষকদের চাকরি সংক্রান্ত তথ্যাদি ফরম পূরণের বিষয়ে সকলকে অবহিত করতে হবে। সহকারী উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসারের তত্ত্বাবধানে টিম গঠন করে ডাটা এন্ট্রি কার্যক্রমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে।

যেসব কাগজপত্র প্রয়োজন হবে:
১) জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটো কপি।
২) এসএসসি পাসের সনদের ফটোকপি।
৩) শিক্ষকের ব্যাংক হিসাবের চেক বইয়ের ফটোকপি (বাইডিং নম্বরসহ)।
৪) স্বামী/স্ত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি।
৫) সন্তানের জন্ম নিবন্ধন সনদ/জাতীয় পরিচয়পত্রের/প্রতিবন্ধী সন্তানের ক্ষেত্রে সমাজসেবা অধিদফতরের পরিচয়পত্রের ফটোকপি।
৬) ঋণ সংক্রান্ত তথ্যাদি (ডিপিএফ/গৃহনির্মাণ/কম্পিউটার/মোটর সাইকেল ইত্যাদি)।
৭) উচ্চতর স্কেলের তথ্য
৮) সর্বশেষ বার্ষিক বর্ধিত বেতন নির্ধারণের ফটোকপি।
৯) সাধারণ ভবিষ্যৎ তহবিল (ডিপিএফ) -এর তথ্য।
১০) ব্যাংক সংক্রান্ত তথ্য: হিসাবের নাম (ইংরেজিতে), হিসাব নম্বর (ধরণসহ) ব্যাংকের নাম, শাখা।

এসব তথ্য যাচাই করে স্বাক্ষরসহ শিক্ষকদের কাছ থেকে ফরমসহ জমা নিতে হবে। সংযুক্ত রেকর্ডপত্র যাচাই করে ‘আইবাস প্লাস প্লাস’ সফটওয়ারে এন্ট্রি প্রক্রিয়া গ্রহণ করতে হবে। আইবাস ফরম পূরণ শেষ হলে প্রত্যেক ফরমে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক এবং উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসারের সাক্ষর ও সিলমোহর প্রদান করবেন। চার সেট ফরম পূরণ করতে হবে। চূড়ান্ত প্রক্রিয়া শেষ হলে চার সেট ফরমের এক কপি সংশ্লিষ্ট শিক্ষক, এক কপি উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসারের ব্যক্তিগত নথির জন্য, এক কপি হিসাব রক্ষণ অফিসে এবং অবশিষ্ট কপি সিলগালা করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে পাঠাতে হবে।


সর্বশেষ সংবাদ