বিনামূল্যে ফোনে শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলবে ছাত্র-ছাত্রীরা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৮ জুলাই ২০২০, ০৯:৫৪ AM , আপডেট: ২৮ জুলাই ২০২০, ০৯:৫৪ AM
করোনার কারণে বন্ধ থাকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে পাঁচ মিনিট ফোনে শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলতে পারবে, সরকার এই কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। টিভি ও রেডিও মাধ্যেমে শিক্ষার্থীদের পাঠদান চালুর পাশাপাশি ফোনে কথা বলারও ব্যবস্থা করছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন।
তিনি বলেন, টিভির পাশাপাশি আগামী দুই-এক সপ্তাহের মধ্যে প্রাথমিকের ক্লাস রেডিওর মাধ্যমে প্রচার করা হবে। রেডিওর মাধ্যমে পাঠদান শুরু করতে পারলে আমরা ৯৬ শতাংশ শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে যাব। এছাড়া শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে পাঁচ মিনিট ফোনে শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলতে পারবে সেই কর্মসূচিও নেয়া হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব বলেন, করোনা পরবর্তী সময়ে ঝরেপড়া রোধে আমাদের বেশকিছু পরিকল্পনা রয়েছে। স্কুল মিল চালুর জন্য ১৯ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প পরিকল্পনা কমিশনে জমা দেয়া হয়েছে। উপবৃত্তি প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এডুকেশন রিপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ইরাব) আয়োজিত ‘করোনায় প্রাথমিক শিক্ষায় চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণে করণীয়’ শীর্ষক অনলাইন সেমিনারে সোমবার প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার ব্যাপারটি বিবেচনা করে স্কুল খোলা হবে। পরীক্ষা নয়, আমরা শিশুদের মূল্যায়ন নিয়ে ভাবছি। কীভাবে ও কতটুকু পড়িয়ে পরবর্তী ক্লাসে পদোন্নতি দেয়া যায় সেই বিষয়টি বিবেচনা করে সিলেবাস পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
একই অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন জানিয়েছেন, দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খুললে সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করে সমাপনী পরীক্ষাসহ শিক্ষার্থীদের ক্লাসভিত্তিক মূল্যায়নের পরিকল্পনা করছে সরকার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যখনই খুলুক, এবার প্রাথমিকের সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যালয় খোলার পর কতটুক সিলেবাসের উপর পরীক্ষা নেওয়া হবে সেই পরিকল্পনা করা হচ্ছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এবং জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমিকে (নেপ) সংশোধিত সিলেবাস তৈরি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয় সেপ্টেম্বরে যদি খোলে, কিংবা না খুললে কীভাবে পরীক্ষা নেওয়া যায় সে বিষয়ে সংশোধিত সিলেবাস প্রণয়নে আমরা কাজ হাতে নিয়েছি। যদি খোলা হয়, তাহলে এক ধরনের প্রস্তুতি আমাদের আছে, না হলে আরেক ধরনের প্রস্তুতি আমাদের নিতে হবে।