নিখোঁজ শিশু-শিক্ষার্থীর লাশ মিলল কারখানার বালুর নীচে
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৯:২৮ PM , আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৯:২৮ PM
গাজীপুরের শ্রীপুরে নিখোঁজ হওয়া এক স্কুল ছাত্রের লাশের সন্ধান মিলল নির্মাণাধীন একটি কারখানার বালুর নীচে। শুক্রবার (৬ডিসেম্বর) সে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহতের নাম জাহিদ হাসান দুর্জয় (১১)। সে শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের বিধায় গ্রামের আকতার হোসেনের ছেলে। স্থানীয় তেলিহাটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন দুর্জয়।
নিহতের স্বজনরা ও এলাকাবাসী জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে খেলার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয় জাহিদ। পরে সন্ধ্যায় সে বাড়ি না ফেরায় তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে পরিবার ও স্বজনরা। এ সময় নিখোঁজ জাহিদের সন্ধান চেয়ে স্থানীয়সহ আশেপাশের এলাকার বিভিন্ন মসজিদ থেকে মাইকিং করা হলেও রাতে তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে শুক্রবার সকালে তার দাদী কমলা খাতুন ও বাবা আকতার হোসেন বাড়ির পার্শ্ববর্তী নির্মানাধীন একটি কারখানার (চায়না প্রজেক্টের) সীমানা প্রাচীরের ভেতর বালুর নীচে পুঁতে রাখা জাহিদের লাশ দেখতে পান। লাশটির মুখের অংশ ছাড়া দেহের পুরো অংশই বালুতে পোঁতা ছিল।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুপুরে নিহতের লাশ উদ্ধার করে এবং ময়না তদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
নিহতের বাবা আকতার হোসেনের দাবি শিশু সন্তান জাহিদকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ বালিতে পুঁতে রাখে হত্যাকারীরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রীপুর থানার ওসি লিয়াকত আলী বলেন, শিশু জাহিদ হত্যার রহস্য উদঘাটনে পিবিআই’র ইন্সপেক্টর মাহমুদুল ইসলামের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ করছে। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান শুরু হয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, প্রায় ১১ মাস আগে আকতার হোসেনের স্ত্রী (জাহিদের মা) স্বামী ও সন্তান রেখে তার চাচাতো দেবরকে ভালবেসে বিয়ে করেন। এ নিয়ে তাদের মাঝে পারিবারিক বিরোধ দেখা দেয়। এর জেরে জাহিদ খুন হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন তারা।