মুন্সিগঞ্জে প্রাথমিকে নতুন বই ও ছাড়পত্র দেওয়ার জন্য টাকা আদায়ের অভিযোগ

বিনোদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মুন্সিগঞ্জ
বিনোদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মুন্সিগঞ্জ  © সংগৃহীত

মুন্সিগঞ্জের সদর উপজেলায় নতুন বই বিতরণের সময় শিক্ষার্থীদের  কাছ থেকে ১০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ছাড়পত্র দেওয়ার জন্য ২০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের। সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের বিনোদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অর্থ আদায়ের এ ঘটনা ঘটেছে।

অভিযোগকারীরা জানান, বিনোদপুর সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা কেউ নিয়ম মানছেন না। নতুন বই দেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১০০ টাকা করে নিয়েছেন শিক্ষকেরা। এ ছাড়াও যারা এই বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়ে বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভর্তি হচ্ছেন, ছাড়পত্র প্রদানের সময় তাদের কাছ থেকেও ২০০ টাকা করে নিয়েছেন শিক্ষকেরা।   

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, 'গ্রামের স্কুল, শিক্ষকেরা যা বলে আমরা তা-ই বিশ্বাস করি।  জানতাম বই দিতে সরকারি কোনো খরচ নাই। তবে কী কারণে ১০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে জিজ্ঞেস করলে দুয়েকজন শিক্ষক আমাকে জানান যে বই দিতে খরচ আছে। আবার কেউ কেউ বলেছেন, স্কুলের আয়া-খালাদের দিব।’

নতুন বই পাওয়া চতুর্থ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বলেন, 'বুধবার (১ জানুয়ারি) নতুন বই দেওয়ার কথা বলে আমাদের বিদ্যালয়ে ডেকে নেয়া হয়। পরে স্যার ও ম্যাডামরা আমাদের কাছে ১০০ টাকা করে নিয়েছেন।'

পঞ্চম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী আব্দুল খালেক বলেন, 'আমি বিনোদপুর রামগোপালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছি। সেখানে ভর্তি হতে প্রাইমারি স্কুলের ছাড়পত্র প্রয়োজন ছিল। ছাড়পত্র  নিতে আসলে স্যাররা আমার থেকে ২০০ টাকা নিয়েছেন।'

অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শামসুল ইসলাম সিকদার বলেন, 'বই এবং ছাড়পত্র দিয়ে কারো কাছ থেকে কোনো ধরনের টাকা নেওয়া হয়নি। যারা বলেছেন, তারা মিথ্যা বলেছেন।' 

এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল মোমেন মিঞা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, 'এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো শিক্ষার্থী বা অভিভাবক আমাদের কাছে অভিযোগ জানাননি। তবে গণমাধ্যমের বরাতে এ বিষয়ে জানতে পেরেছি। নতুন বই দেওয়া এবং সনদ দেয়া বাবদ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে এক টাকাও নেওয়ার সুযোগ নেই। যদি স্কুলের শিক্ষকেরা এমন কাজ করে থাকেন তাহলে তদন্তসাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'


সর্বশেষ সংবাদ