প্রাথমিক নিয়োগ পরীক্ষায় ডিভাইস শনাক্তকরণ সিস্টেম, অসদুপায় শূন্য-দাবি মন্ত্রণালয়ের
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৯ মার্চ ২০২৪, ০২:২৯ PM , আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২৪, ০২:২৯ PM
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ও শেষ ধাপের পরীক্ষায় বুয়েট উদ্ভাবিত ডিভাইস শনাক্তকরণ সিস্টেমের যথাযথ প্রয়োগের ফলে অসদুপায় অবলম্বন রোধ করা গেছে বলে দাবি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আজ শুক্রবার ৩য় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে অনুষ্ঠিত প্রাথমিকের লিখিত পরীক্ষায় ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারের মাধ্যমে জালিয়াতি প্রায় শূন্যের কোটায় নেমে আসার এমন দাবি করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।
সচিব জানান, ১ম ধাপের পরীক্ষায় কিছু ক্ষেত্রে অসদুপায় অবলম্বনের চেষ্টা নজরে আসায় মন্ত্রণালয় এ ধরনের অপপ্রয়াস রোধককল্পে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে। ফলে ২য় ধাপের পরীক্ষায় এ ধরনের অভিযোগ খুব স্বল্প পরিমাণে এসেছে। তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় এ ধরনের অভিযোগ যাতে না ওঠে সে জন্য কার্যকর পন্থা খুঁজে বের করতে বুয়েটের আইআইসিটি বিভাগের অধ্যাপক এস এম লুত্ফুল কবিরকে দায়িত্ব প্রদান করে।
আরও পড়ুন: জুনের মধ্যে প্রাথমিকে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ
তিনি আরও বলেন, বুয়েট ইনোভেশন টিম স্বল্পসময়ে ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে অসদুপায় অবলম্বন শনাক্তকরণে সহজ ও কার্যকর সিস্টেম উদ্ভাবন করে। এতে মন্ত্রণালয় আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করে। আজকের লিখিত পরীক্ষায় ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ৫ জেলায় এ সিস্টেমের সহজ ও কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা সচিব বলেন, সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার এ অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সব ধরনের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় এ ধরনের সিস্টেম চালু করা গেলে ডিভাইসমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা গ্রহণ সম্ভব হবে। তখন কেউ পরীক্ষা নিয়ে কোন অভিযোগ তোলার সুযোগ পাবে না।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকাল ১০টায় সহকারী শিক্ষক নিয়োগে পরীক্ষা ২০২৩ শুরু হয়ে চলে বেলা ১১টা পর্যন্ত। ঢাকা-চট্টগ্রাম বিভাগের ২৪ জেলার ৪১৪টি কেন্দ্রে শেষ ধাপে পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
এবারের পরীক্ষায় অংশ নিতে ৬ হাজার ২০২টি আসনের বিপরীতে তিন লাখ ৪৯ হাজার ২৯৩ জন পরীক্ষার্থী আবেদন জমা পড়ে। এর আগে, প্রথম দুই ধাপে ছয় বিভাগের ৪০ জেলায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।