অভিভাবকদের কাছ থেকে ফি ও পরীক্ষা নেওয়া যবে না প্রাক-প্রাথমিক
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১১ মে ২০২৩, ০৯:৩৬ AM , আপডেট: ১১ মে ২০২৩, ০৯:৩৬ AM
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক স্তর পর্যন্ত এখন থেকে কোনো পরীক্ষার জন্য অভিভাবকদের কাছ থেকে ফি আদায় করতে পারবে না কর্তৃপক্ষ। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কোনো মূল্যায়ন বা পরীক্ষাও নেওয়া যাবে না।
প্রধান শিক্ষকদের দেওয়া নির্দেশনায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এসব কথা জানিয়েছে। মঙ্গলবার অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মনিষ চাকমা এ নির্দেশনাটি জারি করে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বর্ষপঞ্জি ২০২৩-এর মূল্যায়নের জন্য নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী বিভিন্ন প্রান্তিকের মূল্যায়ন অনুষ্ঠিত হবে। সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা শিক্ষা কর্মকর্তা রুটিন প্রণয়ন করবেন। সহকারী উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসারের তত্ত্বাবধানে শিক্ষকের মাধ্যমে জ্ঞান, অনুধাবন ও প্রয়োগমূলক শিখন ক্ষেত্র বিবেচনায় বিদ্যালয় বা রোস্টারভিত্তিক প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করতে হবে।
মূল্যায়ন কার্যক্রম সম্পাদনে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের নিকট থেকে কোনো ফি গ্রহণ করা যাবে না। শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনুযায়ী প্রশ্নপত্র কম্পিউটারে কম্পোজ করে ফটোকপি করতে হবে। প্রশ্নপত্র ফটোকপি ও উত্তরপত্রসহ (খাতা) আনুষঙ্গিক ব্যয় বিদ্যালয়ের আনুষঙ্গিক খাত বা স্লিপ ফান্ড থেকে নির্বাহ করতে হবে।
আরও বলা হয়েছে, প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির কোনো মূল্যায়ন বা পরীক্ষা গ্রহণ করা যাবে না। পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম-২০২১ (প্রাথমিক স্তর) অনুযায়ী ২০২০ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণিতে ধারাবাহিক মূল্যায়ন করতে হবে। কোনোরূপ প্রান্তিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না।
জানা গেছে, চলতি বছর প্রাথমিক স্তরে প্রথম শ্রেণিতে নতুন কারিকুলাম চালু করা হয়েছে। এতে পাঠদান চলার চার মাস পর প্রথমসহ অন্যান্য চার শ্রেণিতে কীভাবে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে তার নির্দেশিকা মঙ্গলবার প্রকাশ করে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। শিক্ষক-কর্মকর্তারা কীভাবে প্রতিপালন করবেন সেজন্য ছয় দফা এ নির্দেশনা দিয়েছে অধিদপ্তর।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রাথমিকের শ্রেণিকক্ষে ধারাবাহিক ও সামষ্টিক মূল্যায়নের নির্দেশিকা প্রাথমিক স্তরের প্রথম শ্রেণির জন্য রচিত শিক্ষক সহায়িকার সঙ্গে সংযুক্ত করে এনসিটিবির ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে।