জালিয়াতি করে ধরা প্রাথমিকের ৪৭৭ শিক্ষক
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৭ অক্টোবর ২০২২, ০৯:০৭ PM , আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২২, ০৯:২৬ PM
ধরা পড়েছে দেশের ৬টি জেলার ৪৭৭ জন প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের জালিয়াতি। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এই নিয়োগের কার্যকারিতা স্থগিতের আদেশ দিয়েছেন। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আবেদনের শুনানিতে আজ সোমবার এই আদেশ দেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ এই শুনানি করেন। আদালতে অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবির ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, বেশি আসন ‘এ’ ইউনিটে
মামলার বিবরণে আছে, ২০১৬ সালের ১ ডিসেম্বর সরকারিকরণ করা হয় ৪ হাজার ৮২৫টি স্কুল। তখন সার্চ কমিটি গঠন করা হয় শিক্ষকদের যোগ্যতা নির্ধারণে। এতে অনেকে বাদ পড়েন। কিন্তু ৪৭৭ শিক্ষক জালিয়াতির মাধ্যমে নিজেদের যোগ্য প্রমাণিত করেন। তারা সবাই কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, জামালপুর, রংপুর, নড়াইল এবং কুষ্টিয়া জেলার অন্তর্গত।
আরও জানা যায়, তাদের নিয়োগ ২০১৬ সালের ৭ জুলাই হয়েছে বলে দাবি করেন ২৬ জন শিক্ষক। কিন্তু সরকারি নথি মোতাবেক, ঈদুল ফিতরের ছুটি ছিল ওই বছরের ১ থেকে ৯ জুলাই। শুধু তাই নয় আদালতের কাছে প্রতীয়মান হয় হাইকোর্টে দেওয়া একটি নথিতে ৪৭৭ শিক্ষকের যে স্বাক্ষর রয়েছে তাও একজনের হাতেই করা।
শুনানিতে আপিল বিভাগ এসব নথি দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন। এর আগে এক রায়ে শিক্ষকদের পক্ষে রায় দেন হাইকোর্টের বেঞ্চ, যার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল দায়ের করে।