ফেসবুক-ইউটিউব দেখে মন্ত্রণালয়ের ডাটা শেষ করছে প্রাথমিক শিক্ষকরা

ক্লাস নিচ্ছেন শিক্ষক
ক্লাস নিচ্ছেন শিক্ষক  © ফাইল ছবি

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দকৃত ইন্টারনেট ডাটা বিদ্যালয়ের জরুরি কাজে ব্যবহার না করে ফেসবুক ও ইউটিউব দেখে শেষ করে ফেলছে শিক্ষকরা। বরাদ্দকৃত ডাটার যথাযথ ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

জানা গেছে, দেশের ৪১ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১০ জিবি করে ডাটা দিচ্ছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি৪) এই ডাটা প্যাকেজ দেওয়া হচ্ছে। তবে প্রাপ্ত ডাটা শিক্ষার্থীদের শিখন প্রক্রিয়ায় ব্যবহার না করে ফেসবুক ও ইউটিউব দেখে শেষ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে অধিদপ্তর।

বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. মুহিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘‘৪১ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য গ্রামীন ফোনের ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান করা হয়েছে এবং প্রতিটি বিদ্যালয়ে এক মাসে ৪০০ টাকার প্যাকেজে ২০ জিবি ডাটা সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রতিটি বিদ্যালয়ে ১টি ওয়াই-ফাই রাউটারের মাধ্যমে এইন্টারনেট সংযোগ সর্বোেচ্চ ১০ জন শেয়ার করে ব্যবহার করতে পারে।

বিদ্যালয়ের ইন্টারনেট সংযোগ মনিটরিং করার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে ১টি ড্যাসবোর্ড রয়েছে। উক্ত ড্যাসবোর্ড
হতে বিদ্যালয়গুলির ইন্টারনেট ব্যবহারের স্ট্যাটাস তারিখ অনুযায়ী দেখা যায়। 

আরও পড়ুন: সবচেয়ে বেশি বিদেশে রয়েছেন ঢাবি শিক্ষকরা, ‍দ্বিতীয় অবস্থানে বুয়েট

ড্যাসবোর্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যাচ্ছে কিছু কিছু বিদ্যালয়ে ডাটার ব্যবহার কম হচ্ছে পাশাপাশি কিছু কিছু বিদ্যালয়ে অল্প দিনের মধ্যে ২০ জিবি ডাটা শেষ হয়ে যাচ্ছে। যেসকল বিদ্যালয় অল্প দিনে ২০ জিবি ডাটা শেষ করে ফেলছে সেসকল বিদ্যালয়কে ইন্টারনেট পেতে পরবর্তী মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। যেসকল বিদ্যালয় মাসের মধ্যে ২০ জিবি ডাটা শেষ করতে পারছে না সেসকল বিদ্যালয়ের অবশিষ্ট ডাটা ক্যারীওভার হয়ে পরবর্তী মাসে যুক্ত হচ্ছে।

এছাড়া আরো পর্যবেক্ষণে দেখা যাচ্ছে যে, বিদ্যালয়ের শিখন-শেখানো কার্যক্রমের বাইরে ফেসবুক, হোযাটসঅ্যাপ ও
ইউটিউব ব্যক্তিগত ডিভাইজে ব্যবহার করে দ্রুত ডাটা শেষ করা হচ্ছে, যা ড্যাসবোর্ডে প্রদর্শিত হচ্ছে। যে সকল বিদ্যালয়ে
শিখন-শেখানো কার্যক্রমের বাইরে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব বা অন্যকোন স্যোসাল মিডিয়া ব্যবহার করে ডাটা ব্যবহার করা হচ্ছে সেসকল বিদ্যালয়ে তালিকা ড্যাসবোর্ড হতে সংগ্রহ করে তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে এবং এসকল বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে। অহেতুক ডাটা ব্যবহারের সকল দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে বহন করতে হবে।

এমতাবস্থায় ইন্টারনেট সংযোগপ্রাপ্ত বিদ্যালয়ে প্রতি মাসে প্রাপ্ত ২০জিবি ডাটা সুনির্দিষ্টভাবে শিখন-শেখানো কার্যক্রমে
যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণের জন্য বিশেষভাবে নির্দেশ প্রদান করা হলো।’’


সর্বশেষ সংবাদ