টুঙ্গিপাড়ার রাজনীতিতে ত্যাগী কর্মীরা মূল্যায়ন পাবেন: জিলানী

মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এসএম জিলানী
মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এসএম জিলানী  © টিডিসি

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এসএম জিলানী বলেছেন, ‘খুবই দ্রুত টুঙ্গিপাড়ায় বিএনপির কাউন্সিলি হবে। সেখানে ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন হবে। কেউ যদি মনে করেন বিএনপি করলে অনেক টাকার মালিক হবেন, এটা ভুল ধারণা। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে ইতিমধ্যেই কোটালীপাড়ায় ১১টি ইউনিয়নে কমিটি দেওয়া হয়েছে। আমি কিছুদিনের মধ্যে দেশের বাইরে যাব। দেশের বাইরে থেকে এসে এই মাসেই টুঙ্গিপাড়ায় বিএনপির সম্মেলন হয়ে যাবে এবং পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেয়া হবে। সেই সঙ্গে বিএনপির অঙ্গসংগঠনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেয়া হবে।’

বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

এসএম জিলানী বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে গোপালগঞ্জ জেলা আলাদা কোনো দ্বীপ নয়। এই জেলাকে নিজেদের মনে করে এখানে হঠকারী সিদ্ধান্ত নেন, সে দায় আপনাদের। আমি দেখেছি, ৫ আগস্টের পর গোপালগঞ্জের কিছু দুষ্কৃতকারী মিথ্যা বানোয়াট বিভ্রান্তকারীর তথ্য ছড়িয়ে সাধারণ মানুষের আবেগের জায়গা আঘাত করে বিপথগামী করেছে। দেশি অস্ত্র ব্যবহার করে গোপালগঞ্জে মহড়া তৈরি করা হয়েছিল। গোপালগঞ্জ সেনাবাহিনীর গাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে, সেই সঙ্গে ১৩  সেপ্টেম্বর আমি যখন আমার বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করতে আসি, তখন আমার ওপর হামলা, আমার সহকর্মী দিদারকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনা যদি না ঘটত, তাহলে গোপালগঞ্জে কোনো মামলা হতো না।’

আরও পড়ুন: রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়ে বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু, মায়ের আহাজারি

তিনি বলেন, ‘গোপালগঞ্জের আওয়ামী লীগের নেতারা আমার কারণে বলে ঈদ করতে পারেনি, এটা তাদের দায়। যে কাজ রাষ্ট্রের জন্য হুমকি ছিল এবং রাষ্ট্র তার ব্যবস্থা করেছে। গত ১৭ বছরে আমাদের দেশে রাজনৈতিক শিষ্টাচার ছিল না। একজন রাজনীতিবিদ তার মতাদর্শ অনুযায়ী যেকোনো দল করতে পারেন।’ 

তারেক রহমানের নেতৃত্বে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি বলেন, ‘মনে রাখতে হবে, আমাদের নেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বেই এ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে এবং আগামীতে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনও তার নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হবে। তারেক রহমান সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল যে ৩১ দফা দিয়েছেন তা যদি বাস্তবায়ন করা হয়, তাহলে বাংলাদেশে হবে একটি চাঁদামুক্ত দেশ, বৈষম্যহীন দেশ। ১৭ বছর ধরে বিএনপি মানুষের ভোটের অধিকার নিয়ে আন্দোলন করেছেন। আমাদের সাংগঠনিক অভিভাবক তারেক রহমান বলেছেন আমরা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আন্দোলন করছি না মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য আন্দোলন করেছি।’

ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়ে সাংবাদিকদের মধ্যে টুঙ্গিপাড়ার সিনিয়র সাংবাদিক নবধারার সম্পাদক মেহেদী হাসান, ভোরের ডাকের ইমরান শেখ, আজকের পত্রিকার সজল সরকার, এশিয়ান টেলিভিশনের হাফিজুর রহমান, দৈনিক ভোরের কাগজের সফিক শিমুল, দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের রাকিব চৌধুরী, দৈনিক আমার সংবাদের বিপুল শেখসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


সর্বশেষ সংবাদ