প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক মোফাজ্জল সাদাতের

মো. মোফাজ্জল হোসেন সাদাত
মো. মোফাজ্জল হোসেন সাদাত  © সংগৃহীত

গতকাল রবিবার (৯ আগস্ট) দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসে প্রকাশিত ঢাবি ছাত্রীর নগ্ন ছবি পোস্ট করা সেই সাদাত এখন নতুন ছাত্রসংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন নতুন ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের (বাগছাস) কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মোফাজ্জল হোসেন সাদাত।

আজ সোমবার (১০ আগস্ট) এক প্রতিবাদলিপিতে তিনি বলেছেন, দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে প্রকাশিত ‘ঢাবি ছাত্রীর নগ্ন পোস্ট করা সেই সাদাত এখন নতুন ছাত্র সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা’ শিরোনামের নিউজটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়। প্রকাশিত খবরে অসত্য তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। আমি এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

প্রতিবাদলিপিতে সাদাত বলেন, প্রকাশিত খবরের শিরোনাম এমনভাবে করা হয়েছে যা দেখে মনে হচ্ছে,  আমি একজনের নগ্ন ছবি পোস্ট করেছি এবং তা প্রমাণিত। প্রকৃতপক্ষে এটি একটি মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর শিরোনাম। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার আগ পর্যন্ত কাউকে সরাসরি দোষী বলা সাংবাদিকতার ইথিকসের মধ্যে পড়ে না। ওই সমস্ত ছবি আমি পোস্ট করিনি এবং আদালত কর্তৃক তদন্তেও প্রমাণিত হয়নি যে, আমি করেছি। কেবল অভিযোগের ভিত্তিতে আমাকে দোষী সাব্যস্ত করে বিভ্রান্তিকর শিরোনাম দেওয়ার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। 

তিনি আরও বলেন, প্রকাশিত খবরে আমার কোনো বক্তব্য নেওয়া হয়নি। একটি প্রপাগান্ডা ফেইসবুক পেইজের পোস্ট অনুসরণ করে বিভ্রান্তিকর তথ্য তুলে ধরা হয়েছে খবরে। উক্ত খবরে বলা হয়েছে, আমি তিন দিনের রিমান্ডে ছিলাম এবং কয়েক বছর জেলে ছিলাম। যা সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা। রিমান্ডে ১২ ঘণ্টাও রাখা হয়নি এবং জেলে ছিলাম চার মাস। 

এছাড়াও বলা হয়েছে, মামলাটা এখনো চলমান কি না তা নিশ্চিত নয়। প্রকৃতপক্ষে আমার সাথে কিংবা থানায় যোগাযোগ করলেই নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যেতো। সাংবাদিক আমার কোনো প্রকার বক্তব্য না নিয়ে  একটি প্রপোগান্ডা পেজের বক্তব্য হুবহু তুলে ধরেছে যা খুবই দৃষ্টিকটু।

প্রতিবাদলিপিতে সবশেষে সাদাত বলেন, আমার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা গত ৬ জুন, ২০২৪ইং তারিখে আদালতে নিষ্পত্তি হয়। বর্তমানে আমার বিরুদ্ধে কোনো প্রকার মামলা নেই। কোনো প্রকার ভেরিফাই না করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রচার করা কোনোভাবেই শোভনীয় নয়। দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস সংবাদ প্রকাশে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে এবং সঠিক তথ্য প্রচার করবে সেই প্রত্যাশা রইলো।

প্রতিবেদকের বক্তব্য: ২০২০ সালের অক্টোরের শেষের দিকে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নিজ বিভাগের এক নারী সহপাঠীর ব্যক্তিগত ছবি (নগ্ন) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের ওই ছাত্র মোহাম্মদ মোফাজ্জল সাদাত। পরে তাকে রিমান্ডেও নিয়েছিল পুলিশ।

ঘটনার সংশ্লিষ্ট নিউজ তৎকালীন সময়ে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসে প্রকাশ করা হয়েছে। সেই নিউজের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে কাউকে অসম্মান বা ছোট করা কিংবা কোনো বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে প্রতিবেদনটি করা হয়নি।

এছাড়াও প্রতিবেদনটিতে ঘটনাক্রম এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়াবলির সাথে প্রতিবাদলিপিতে সমর্থিত বক্তব্যে ভিন্নতা রয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ