কে হচ্ছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস নাকি ঋষি সুনাক?

লিজ ট্রাস ও  ঋষি সুনাক
লিজ ট্রাস ও ঋষি সুনাক   © সংগৃহীত

দেশজুড়ে ক্লান্তিকর সফর, এক ডজন বৈঠক ও তিনটি টেলিভিশন বিতর্কের পর যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে  ঋষি সুনাককে ছাড়িয়ে গেছেন লিজ ট্রাস।

এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে যুক্তরাজ্য সময় শুক্রবার বিকেল ৫টায় শেষ হতে চলা ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি সদস্যদের ভোটে ট্রাস দৃশ্যত জয়ী হতে যাচ্ছেন। 

গ্রীষ্মজুড়ে চলা নির্বাচনের উত্তাপ শেষ হতে যাচ্ছে সোমবার। পরের দিন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করার আগেই এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হবে বলে জানা গেছে।

কনজারভেটিভ পার্টির আনুমানিক ২ লাখ সদস্যের পোস্টাল এবং অনলাইন ভোট শুরু হয় আগস্টের শুরুতে।

দলটির বিপুলসংখ্যক ভোটার ট্রাসের পক্ষে রায় দেন, তবে দলের ভোটারদের সমর্থন পেয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী হয়ে গেলেও চ্যালেঞ্জ কমবে না এ নেতার।

জানা গেছে সদস্যদের ভোটে ট্রাস সুনাকের তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন। কিন্তু বিজয়ী স্কটিশ হাইল্যান্ডে রানীর সঙ্গে দেখা করে ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের কার্যালয়ে ফিরে আসলে খুব তারাতারি বিভিন্ন সমস্যায় পড়বেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

যুক্তরাজ্যে জীবনযাপনের খরচ কয়েক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে জ্বালানির দাম আকাশচুম্বী হওয়ায় মূল্যস্ফীতি দুই অঙ্কের কোটা পেরিয়েছে। এমন বাস্তবতা সামলাতে হবে নতুন প্রধানমন্ত্রীকে।

বিভিন্ন কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন বরিস জনসন। একসময় ব্রিটেনে ব্রেক্সিটের নায়ক ছিলেন জনসন। ব্রিটেনের আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২০২৫ সালে। ততদিন পর্যন্ত লিজ ট্রাস ব্রিটেনকে নেতৃত্ব দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অন্যদিকে জনসনের পদত্যাগের পর থেকে কনজারভেটিভ পার্টিকে ক্রমাগত আক্রমণ করে চলেছে প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টি। তাদের দাবি ব্রিটেনে ‘জম্বি সরকার’ চলছে এবং ১৯৭৯ সালে মার্গারেট থ্যাচারের জয়ের পর থেকে প্রথমবার এত বড় অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি হয়েছে ব্রিটেন।

বিভিন্ন জনমত সমীক্ষায় দেখা গেছে, ক্রমাগত আক্রমণের পড়ে এই মুহুর্তে ব্রিটেনের লেবার পার্টি প্রায় দ্বিগুন জন সমর্থন নিয়ে এগিয়ে রয়েছে কনজারভেটিভ পার্টির তুলনায়।

সূত্র : এএফপি ও এনডিটিভি।


সর্বশেষ সংবাদ