ক্লাস চলাকালীন শিস, ৭ স্কুলছাত্রের চুল কাটলেন প্রধান শিক্ষিকা

  © সংগৃহীত


স্কুলে ক্লাস চলাকালীন শিস দেওয়ার অপরাধে ৭ জন ছাত্রের মাথার চুল কাঁচি দিয়ে কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠল প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণেশ্বর আড়িয়াদহ কাঁলাচাদ স্কুলে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। ছাত্রদের অভিভাবকেরা সবর হয়েছেন প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, দক্ষিণেশ্বরের আড়িয়াদহ কালাচাঁদ স্কুলে তখন নবম শ্রেণিতে ভৌতবিজ্ঞানের ক্লাস চলছিল। অভিযোগ, শিক্ষিকার পড়ানোর সময়ই ক্লাসের মধ্যে শিস দেওয়ার ঘটনাটি ঘটে। সেইসময় ওই ক্লাসের যিনি শিক্ষিকা ছিলেন, তিনি জানতে চান কোন ছাত্র এই আওয়াজ করে? কোনও সুনির্দিষ্ট উত্তর না পেয়ে, তারপরই সন্দেহবশত ৭ জন ছাত্রকে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ইন্দ্রাণী মজুমদারের ঘরে নিয়ে যান ওই শিক্ষিকা। প্রধান শিক্ষিকা ইন্দ্রাণী মজুমদারও জানতে চান যে, কোন ছাত্র ক্লাসে শিষ দিয়েছে? তারপরই সন্দেহের বশে ওই ৭ জন ছাত্রের মাথার চুল প্রধান শিক্ষিকা নিজে হাতে কাঁচি দিয়ে কেটে দেন। 

এমনই অভিযোগ আলমবাজার এলাকার ছাত্র সায়ন্তন মান্নার পরিবারের লোকেদের। ক্লাসে শিস দেওয়া নিঃসন্দেহে গুরুতর অপরাধ। কিন্তু কে ওই কাজ করেছে, তা না জেরেই শুধু সন্দেহের বশে এহেন শাস্তি দেওয়া যায় কি? বা ছাত্রের মাথার চুল কেটে নেওয়ার মত কাজ কি কখনও শাস্তি হতে পারে? উঠছে প্রশ্ন। প্রশ্নের মুখে দক্ষিণেশ্বরের আড়িয়াদহ কালাচাঁদ স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ইন্দ্রাণী মজুমদারের ভূমিকাও। 

অভিভাবকদের স্পষ্ট বক্তব্য, শাস্তি অনেকরকমের হতে পারে। কিন্তু এই ধরনের শাস্তি তারা কোনওভাবে মন থেকে মেনে নিতে পারছেন না। তাই প্রধান শিক্ষিকার শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত ছাত্র ও তাদের পরিবার।

সূত্র: জি নিউজ বাংলা


সর্বশেষ সংবাদ