ভেপিং নিষিদ্ধ হলে প্রধানমন্ত্রীর তামাকমুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্য বাধাগ্রস্থ হবে

সংবাদ সম্মেলন
সংবাদ সম্মেলন  © টিডিসি ফটো

ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫ (২০১৩ সালে সংশোধিত) এর পুনরায় সংশোধনের খসড়ায় ভেপিং নিষিদ্ধের জন্য আনা প্রস্তাব বাতিলের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন (বেন্ডস্টা)।

সোমবার (৪ জুলাই) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। অনুষ্ঠানে বলা হয়, দেশে ভেপিং নিষিদ্ধ করা হলে অনেকে আবারও প্রচলিত সিগারেটে ফিরে যাবে। এতে ধূমপায়ীর সংখ্যা হ্রাসের পরিবর্তে বরং বেরে যাবে।সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর ২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে ধূমপান মুক্ত করার যে লক্ষ্য তা বাধগ্রস্থ হবে।

সম্প্রতি ভেপিং নিষিদ্ধ করে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫ পুনরায় সংশোধনের খসড়া তৈরি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। যেখানে ই-সিগারেট বা এ যন্ত্রাংশ বা অংশ-বিশেষ উৎপাদন, আমদানি, রপ্তানি, সংরক্ষণ, ক্রয়-বিক্রয় ও পরিবহন নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

এমন উদ্যোগের প্রেক্ষিতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের খসড়া তেকে ভেপিং পণ্য তথা ইলেক্ট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেমকে বাদ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ব্যান্ডসটার সভাপতি মাসুদ উজ জামান। 

তিনি বলেন, ইউকে হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সির (পাবলিক হেলথ অব ইংল্যান্ড) গবেষণায় বলা হয়েছে ভেপিং এই সাধারণ সিগারেটের তুলনায় ৯৫ শতাংশ কম ক্ষতিকর। কিন্তু অবাক করা ব্যাপার, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত কোন গবেষণা পর্যালোচনা না করে এবং সংশ্লিষ্ট অংশিজনের সাথে আলোচনা না করে ভেপিং নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব করেছেন। দেশকে ধূমপান-মুক্ত করার উদ্যোগে সহায়ক হতে পারে ভেপিং।

তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া-ভিত্তিক কনজুমার চয়েস সেন্টারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যের পদ্ধতি অনুসরণ করে নিয়মতান্ত্রিকভাবে ভেপিংকে উৎসাহিত করা গেলে বাংলাদেশে ৬২ লাখের বেমি ধূমপায়ী প্রচলিত সিগারেট ছেড়ে দিবে। ইতোমধ্যে দেশের ৪ হাজার ভেপার সম্প্রতি ভেপিংকে ধূমপান ছাড়ার ক্ষেত্রে কার্যকর উপায় হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য পিটিশনে স্বাক্ষর করেছেন।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বেন্ডস্টা'র সহ-সভাপতি আনিছুজ্জামান নাছের খান, প্রফেসর ড. মিঠুন আলগীর, এক্সিকিউটিভ কমিটি মেম্বার নুরুল আমিনসহ আরও অনেকে।

এসময় আনিছুজ্জামান নাছের খান বলেন, আমরা রীতিমত অবাক হয়েছি, যদিও আমরা দীর্ঘদিন যাবত এ ব্যবসার সাথে জড়িত আছি কিন্তু আমাদের না জানিয়ে খসড়া আনা খুবই দুঃখজনক এবং বিস্ময়কর।

এ সময় তারা ভেপিং সংক্রান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তাদের সঙ্গে আলোচনা করা এবং তামাক পণ্য ও ভেপিং এই দুইটিকে আলাদা পণ্য হিসেবে বিবেচনার দাবি জানান।  


সর্বশেষ সংবাদ