ইউক্রেন ছেড়ে পালিয়েছেন জেলেনস্কি!

ভলোদিমির জেলেনস্কি
ভলোদিমির জেলেনস্কি  © সংগৃহীত

ইউক্রেন ছেড়ে পোল্যান্ডে পালিয়ে গেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাশিয়ার আইনসভা স্টেট দুমার স্পিকার ভিয়াচেসলাভ ভলোদিন এমন দাবি করেন। খবর স্পুটনিকের।

তিনি বলেন, জেলেনস্কি বর্তমানে পোল্যান্ডে আছেন। তাকে লাভবে পাওয়া যায়নি। তবে এ নিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

জেলেনস্কি সামাজিক মাধ্যমে যেসব ভিডিও পোস্ট দিচ্ছেন, তা আগেই রেকর্ড করা হয়েছিল। ইউক্রেনের পার্লামেন্ট রাডার-এর এক কর্মকর্তা তাকে এই তথ্য দিয়েছেন বলে দাবি করেন দুমা স্পিকার।

তবে গুঞ্জন উড়িয়ে শুক্রবার ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, তিনি রাজধানী কিয়েভেই আছেন।নিজের ইনস্টাগ্রামে পেইজে এক ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, দুই দিন পরপর তথ্য আসছে আমি কোথাও পালিয়ে গেছি। ইউক্রেনে, কিয়েভ এবং আমরা অফিসেও নেই। আমিও এখনও আমার জায়গায় আছি। আন্দ্রি বোরিসোভিড (ইয়ারমাক) এখানে। কেউ কোথাও পালিয়ে যাইনি। এখানে, আমরা কাজ করছি।

আরও পড়ুন: ইউক্রেনে যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করলো রাশিয়া

এর আগে জেলেনস্কির নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে বেশ কয়েকটি পশ্চিমা সংবাদমাধ্যম। ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ান-ইয়াভেস লি দ্রিয়ান বলেন, প্রয়োজন হলে আমরা তাকে সহায়তা করতে প্রস্তুত আছি।

রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর বারবার আলোচনায় এসেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলনস্কি। রাশিয়ার মতো অতি বৃহৎ ও সামরিক ক্ষমতাধর এক দেশের আগ্রাসনের মুখে দেশকে রক্ষা করার দৃঢ়চেতা মনোভাবের কারণে তিনি প্রশংসা কুড়িয়েছেন। অনলাইনে এসে বারবার কিয়েভ ছেড়ে পালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র তাঁকে ইউক্রেন থেকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দিলেও তা প্রত্যাখ্যান করে পাল্টা দেশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।

অন্যদিকে ইউক্রেনকে নো-ফ্লাই জোন ঘোষণা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো। এটি হলে ইউক্রেনের আকাশে রুশ যুদ্ধবিমান ওড়া নিষিদ্ধ হয়ে যেতো। কিন্তু তাতে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বাধার শঙ্কা রয়েছে দাবি করে এই প্রস্তাবে রাজি হয়নি পশ্চিমারা। আর তাতেই মারাত্মক ক্ষেপেছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। বলেছেন, এখন থেকে ইউক্রেনে যত মানুষ মারা যাবে, তার জন্য ন্যাটোও দায়ী থাকবে।

শুক্রবার (৪ মার্চ) রাতে টেলিভিশনের এক ভাষণে জেলেনস্কি অভিযোগ করেন, পশ্চিমা নেতারা জানতেন, তার দেশে রাশিয়ার আগ্রাসন বাড়বে। তবুও পুতিন বাহিনীকে ইউক্রেনীয় শহরগুলোতে বোমা হামলা চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ