কিশোর গ্যাংয়ের নেতা থেকে প্রেসিডেন্ট পুতিন

ভ্লাদিমির পুতিন
ভ্লাদিমির পুতিন  © সংগৃহীত

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ছিলেন একসময়ের কিশোর গ্যাং নেতা। স্কুলে থাকার সময়ে তিনি বন্ধুদের নিয়ে গ্যাং তৈরি করেন। জড়িয়ে পড়েন নানা অপরাধ কর্মকাণ্ডে। তবে খোলাধুলার প্রতি অসম্ভব টান থাকার কারণে পরে সেদিকেই ঝুঁকে পড়েন তিনি।

১৯৫২ সালে লেনিনগ্রাদে মা মারিয়া ইভানোভানা ও বাবা ভ্লাদিমির স্পিরিডোনোভিচ ঘরে জন্ম নেন পুতিন। ছোটবেলা থেকেই দুরন্ত ছিলেন তিনি। সমবয়সী ও বড়দের সঙ্গে অল্প কথায় মারামারিতে জড়িয়ে পড়তেন পুতিন। খেলাধুলায় আগ্রহী পুতিন প্রশিক্ষকের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে খুব দ্রুতই জুড়োতে পারদর্শী হয়ে উঠেন।

১৯৭০ সালে পুতিন লেনিনগ্রাদ স্টেট ইউনির্ভাসিটিতে আইন বিষয়ে ভর্তি হন। ১৯৭৫ সালে ডিগ্রি অর্জন করে যোগ দেন তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবিতে। নিজের দক্ষতা, কৌশল ও মেধা দিয়ে সংস্থার প্রধান হন তিনি।

আরও পড়ুন- মার্কিন প্রস্তাবে ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের ‘না’

১৯৯৯ সালে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পান পুতিন। ২০০০ সালে নির্বাচনে জিতে আসন পাকাপোক্ত করেন। ক্ষমতায় এসেই গণমাধ্যম ও ভিন্ন মতের আদর্শ দমাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি। সফলও হন। রাশিয়ার প্রায় আড়াই হাজার গণমাধ্যম কখনোই সরকারের বিরুদ্ধে কিছু প্রকাশ করে না। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ২০২৪ সালে মেয়াদ শেষ হবে পুতিনের।

এদিকে ভিন্ন মত দমনে কঠোর হলেও নিজ দেশে বেশ জনপ্রিয় এই নেতা। রাশিয়ার অর্থনীতি চাঙ্গা রাখার সুফল হিসেবে এটি পেয়েছেন তিনি। মাঝে মাঝেই পুতিনের সামরিক ট্রেনিংয়ের ছবি ভাইরাল হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইচ্ছে করেই ছবিগুলো ভাইরাল করেন পুতিন। এর মাধ্যমে জনগণকে একটি বার্তা দেন তিনি। বার্তাটি হলো- তোমাদের প্রেসিডেন্ট স্বাস্থ্যবান। তিনি অনেক স্ট্রং। তোমরা নিশ্চিন্তে থাকো।

বিশ্ব রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি পুতিন। দেশের ক্ষমতা দখলে রাখার পাশাপাশি তিনি পশ্চিমাদের সঙ্গেও সুসম্পর্ক রেখে চলছিলেন। ক্ষমতা দেখাতে ২০১৪ সালেই হঠাৎ ক্রিমিয়া দখল করে নেন তিনি। প্রতিবার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ক্ষমতায় থাকতে নতুন নতুন কৌশল বের করেন পুতিন। এবারও কী সেরকম কিছু অপেক্ষা করছে? সময়ই তা বলে দেবে।


সর্বশেষ সংবাদ