অনলাইন পরীক্ষায় ‘বেকুব মার্কা প্রশ্ন’ মন্তব্য করে ভাইরাল পরীক্ষার্থী
যুক্তরাষ্ট্রের স্কাইওয়েস্ট এয়ারলাইনসের অনলাইন চাকরির পরীক্ষায় অসাবধানবশত বেফাঁস মন্তব্য করে ভাইরাল ভারতীয় এক নারী পরীক্ষার্থী। ভিডিও কলে পরিক্ষার শুরুর পর প্রশ্ন দেখে তিনি এ মন্তব্য করে। কিন্তু তিনি জানতেননা যে পরীক্ষা শুরু হয়েছে তাকে চাকরিদাতারা শুনছে। ওই চাকরী প্রার্থীর নাম চায়লিন মার্টিনেজ। শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, ওই ভারতীয় নারী যুক্তরাষ্ট্রের বিমান সংস্থাটির ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট পদের জন্য আবেদন করেছিলেন। এই পদের জন্য তাকে প্রশ্ন পাঠানো হয়েছিল। শর্ত ছিল এর উত্তর ভিডিওতে উত্তর দিতে হবে।
আরও পড়ুন: সাবেক প্রেমিক-প্রেমিকার নামে তেলাপোকার নাম রাখা যাবে
মার্টিনেজ প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য ওই বিমান সংস্থার ওয়েবসাইটের একটি নির্দিষ্ট সেকশনে গিয়ে অসাবধানতাবশত ভিডিও কলে যুক্ত হয়েছিলেন। মার্টিনেজকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, স্কাইওয়েস্ট এয়ারলাইনসের চলমান ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে তার মনোভাব কী? এটাতে তিনি কেমন বোধ করেন? কিন্তু তিনি অসাবধানতাবশত নিজের অজান্তে প্রশ্ন নিয়ে অন রেকর্ডে করা এক আলাপে বেফাঁস মন্তব্য করেন যা নিয়ে ব্যাপক তর্ক-বিতর্ক চলছে। ফোনের অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তির সঙ্গে তিনি প্রশ্ন সম্পর্কে বলছিলেন, ‘এমন বেকুব মার্কা ও সস্তা প্রশ্ন আমি জীবনেও পড়িনি।’ এ সময় তাকে শুধু প্রশ্নের সমালোচনাই নয়, ঠোঁটে প্রসাধনী ব্যবহার করতেও দেখা যায়।
আরও পড়ুন: আইপিএল নিলাম চলাকালীন জ্ঞান হারালেন সঞ্চালক
উল্লেখ্য, মার্টিনেজ যখন ওই ওয়েবসাইটের সুনির্দিষ্ট পেজে প্রবেশ করেছিলেন, তখন রেকর্ডিং শুরু হয়েছিল। প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য সময় বরাদ্দ ছিল ১ মিনিট ৭ সেকেন্ড। কিন্তু বিষয়টি তিনি যখন বুঝতে পারেন তখন সময় পেরিয়ে গেছে ৪৮ সেকেন্ড। ফলে তিনি আর বেশি কিছু বলতে পারেননি। যখন বুঝতে পারেন, তখন মার্টিনেজ বলেন, ‘ওহ, নো।’ এরপর একবার ‘আমি দুঃখিত’ বলে ক্ষমা চেয়েছেন। ‘আমি বুঝতে পারিনি এটা রেকর্ড হচ্ছে। আমি চর্চা করছিলাম।’- বলে এর পরে তিনি আবারও ক্ষমা চান আর এর মধ্যেই তার অনলাইন পরীক্ষার সময় শেষ হয়ে যায়।