আলিঙ্গনের ধরনই বলে দেবে ভালবাসার গভীরতা!

বিশ্ব আলিঙ্গন দিবস
বিশ্ব আলিঙ্গন দিবস  © সংগৃহীত

আজ হাগ ডে। আপনার আলিঙ্গনের ছোঁয়াই বলে দেবে প্রিয়জনের প্রতি আপনি কতটা বিশ্বস্ত। প্রিয় মানুষটিকে জড়ানোর কায়দাই বুঝিয়ে দেবে আপনার ভালোবাসার গভীরতা। এমনকি এই নৈকট্যই বলে দেবে আপনি বিপদে তাকে কতটা আগলে রাখতে পারবেন। শুধু প্রেমিক-প্রেমিকাই নয়, প্রিয়জনদের জড়িয়ে ধরার মাধ্যমে সৃষ্টি হয় এক গভীর সম্পর্কের। বাড়ে আন্তরিকতা। 

প্রিয়জনকে একটুখানি জড়িয়ে ধরা আপনার মানসিকভাবে প্রশান্তির কারণ হবে। তার পরম ভালোবাসার কোমল সংস্পর্শ আপনার দেহ ও মনের উপর ফেলবে ইতিবাচক প্রভাব।

বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত যে, প্রিয়জনকে আলিঙ্গনের ফলে উচ্চ রক্তচাপ সমস্যা হ্রাস পায়। ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ক্যারোলিনার এক সমীক্ষা প্রমাণ করেছে, মধুর আলিঙ্গনে বেশি মাত্রায় অক্সিটোসিন নামের এক প্রকার হরমোনের ক্ষরিত হয়। যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এমনকি প্রিয় মানুষটির কোমল ছোঁয়ায় শরীর ও মন শান্ত হয়। ফলে অক্সিটোসিন নিসৃত হওয়ায় হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক করে মনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনে।

আরও পড়ুন- উপাচার্যদের দুর্নীতির বিচার হওয়া উচিত: ঢাবি উপাচার্য

প্রিয়জনকে নিবিড় আলিঙ্গনে ঘুম ভালো হয়৷ ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশনের গবেষণায় উঠে এসেছে, ঘুমানোর আগে প্রিয় মানুষকে যদি অল্প সময়ের জন্য হলেও নিবিড় আলিঙ্গনে রাখা যায়, তাহলে সেই আলিঙ্গন নাকি গভীর ঘুম আনতে সহায়তা করে। আর দেহের প্রাণশক্তি বাড়াতে ভালো ঘুমের বিকল্প কিছু নেই।

এছাড়াও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরুন। কেননা সাইকোলজিক্যাল সায়েন্সের এক সমীক্ষা বলছে, নিবিড় আলিঙ্গনের সঙ্গে কর্টিসল নামের এক প্রকার হরমোন নিঃসরণের সম্পর্ক রয়েছে। এ হরমোনের অতিরিক্ত ক্ষরণে শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়। কিন্তু নিবিড় আলিঙ্গনে এ হরমোনের নিঃসরণ কমে আসে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

আরও পড়ুন- ৩ কারণে শিক্ষার্থী পাচ্ছে না গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো

তাই মনে প্রশান্তি পেতে প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরুন। তার কোমল ছোঁয়া এবং পরম ভালোবাসার সংস্পর্শে দেহ-মনকে রাখুন সুস্থ্য ও সুন্দর। হ্যাপি হাগ ডে।


সর্বশেষ সংবাদ