স্বেচ্ছায় করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন যারা

স্বেচ্ছায় করোনায় আক্রান্ত
স্বেচ্ছায় করোনায় আক্রান্ত  © সংগৃহীত

করোনার প্রকোপ থেকে বাঁচতে সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চলাচল করছেন। নিজেকে ও পরিবারকে সুস্থ রাখতে গত দুই বছর ঘরের বাইরে যাওয়ারও নজির রয়েছে। তবে এবার সম্পূর্ণ একটি ভিন্ন খবর দেবো। ব্রিটেনে একদল লোক স্বেচ্ছায় করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। গবেষকদের সহায়তা করতেই তাদের এই উদ্যোগ। ভবিষ্যতে টিকার কার্যকারিতা বাড়াতে এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। এই খবর দিয়েছে রয়টার্স। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত এপ্রিল থেকেই ব্রিটেনে এই পরীক্ষা শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে অক্সফোর্ড। মঙ্গলবার এক বিবৃতি দিয়ে ব্রিটেনের ওই বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে চ্যালেঞ্জ ট্রায়াল নামে পরিচিত এই পরীক্ষা ভবিষ্যতে আরও দ্রুত এবং কার্যকরী কোভিড টিকা তৈরি করতে সাহায্য করবে।

আরও পড়ুন- করোনা মহামারি ইসলাম কি বলে?

ট্রায়ালের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে এমন স্বেচ্ছাসেবকদের যাদের আগেই কোভিডে সংক্রমিত হয়েছেন। অথবা তারা কোভিডের দুটি টিকা নিয়ে ফেলেছেন। এই মুহূর্তে চ্যালেঞ্জ ট্রায়ালটি প্রাথমিক পর্বে রয়েছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। মানবদেহে কোভিডের সংক্রমণ ঘটাতে কত পরিমাণ ভাইরাস প্রয়োজন তা প্রথম পর্বে দেখা হবে। এর পরের পর্যায়ে গবেষকদের লক্ষ্য, ওই সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে মানবদেহে কত মাত্রায় টি-সেল বা অ্যান্টিবডি জরুরি। 

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাকসিনোলজির অধ্যাপক হেলেন ম্যাকশেন বলেন, করোনাভাইরাসের হাত থেকে মুক্তি পেতে মানবদেহে কতটা প্রতিরোধ ক্ষমতা জরুরি, তা জানার পর আমরা সেই মাত্রায় অ্যান্টিবডি নতুন কোভিড টিকায় যোগ করতে পারব।

আরও পড়ুন- ছাত্রীর পর এবার এক শিক্ষকের করোনা শনাক্ত

পরীক্ষা চলাকালীন কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার ফলে স্বেচ্ছাসেবকদের যাতে জীবনের ঝুঁকি দেখা না দেয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখা হচ্ছে বলে দাবি গবেষকদের। তারা জানিয়েছেন, চ্যালেঞ্জ ট্রায়ালের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী সুস্থসবলদের বেছে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, তাদের বাধ্যতামূলকভাবে অন্তত ১৭ দিনের নিভৃতবাসে থাকতে হবে। কোনও উপসর্গ দেখা দিলেও স্বেচ্ছাসেবকদের মোনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি ট্রিটমেন্ট করানো হবে বলেও জানিয়েছেন অক্সফোর্ডের গবেষকেরা।


সর্বশেষ সংবাদ