স্কুল বন্ধ থাকায় কেনিয়ায় গর্ভধারণ বেড়েছে তিনগুন!

করোনার কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় কেনিয়ায় গর্ভধারণ তিনগুন বেড়েছে
করোনার কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় কেনিয়ায় গর্ভধারণ তিনগুন বেড়েছে  © ডয়েচে ভেলে

করোনার কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় কেনিয়ায় কিশোরীদের মধ্যে গর্ভধারণের সংখ্যা বেড়েছে। একটি পরিসংখ্যানের আলোকে এ তথ্য জানিয়েছেন ডয়েচে ভেলে। কেনিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় শহর লোদওয়ারে কাজ করা দাতব্য সংস্থা ‘ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি’ বলছে, চলতি বছরের জুন-আগস্ট মাসে তাদের গ্রাহকদের মধ্যে গর্ভধারণের সংখ্যা ছিল ৬২৫, যা গতবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় তিনগুন (২২৬)৷

এক শরণার্থী শিবিরে মার্চ-আগস্টে গর্ভধারণের সংখ্যা ছিল ৫১, যা গতবছর একই সময় ছিল ১৫। করোনার কারণে বিভিন্ন দেশে স্কুল বন্ধ থাকায় কিশোরীদের মধ্যে গর্ভধারণের হার বাড়তে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছিল প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা। কেনিয়ার নাইরোবির এক বস্তিতে বাস করা ১৭ বছরের স্কুল শিক্ষার্থী জ্যাকলিন বসিবরির ক্ষেত্রে তাই ঘটেছে।

নাইরোবির কিবেরা বস্তিতে এক ঘরে গাদাগাদি করে থাকে বসিবরি, তার পাঁচ ভাইবোন ও মা। করোনার সময় দিনের বেলায় মা যখন সবজি বিক্রি করতে বাইরে যান তখন একজনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে ১৭ বছরের বসিবরি। পরে গর্ভবতী হয়ে সম্প্রতি সন্তানের জন্ম দিয়েছে সে।

রয়টার্সকে বসিবরি জানিয়েছে, স্কুল খোলা থাকলে হয়ত সে গর্ভবতী হত না। ভবিষ্যতে আইনজীবী হতে চায় সে। তাই জানুয়ারিতে স্কুল খুললে সে আবারও পড়াশোনায় ফিরে যেতে চায়। জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের কেনিয়ার প্রধান অ্যাডেমোলা ওলাজিদ বলছেন, সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হওয়ার আশঙ্কায় অনেক কিশোরী গর্ভবতী সেবা নিতে হাসপাতাল বা ক্লিনিকে যেতে চায় না বলে গর্ভধারণের আসল সংখ্যা জানা সম্ভব নয় না।

গর্ভবতী হওয়ার পর হাসপাতালে না যাওয়ায় অনেক কিশোরী বিভিন্ন জটিলতার সম্মুখীন হয়। অনেকে অনিরাপদ গর্ভপাতের দিকে যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সি মেয়েদের মৃত্যুর অন্যতম কারণ গর্ভধারণ ও সন্তান জন্মদান। গর্ভবতী অবস্থায় কঠিন কিছু কাজ করতে বাধ্য হওয়ার পরও বরিসরি ৩.৩ কেজি ওজনের সুস্থ সন্তান জন্ম দিয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ