আটকে আছে আগরতলা থেকে কলকাতা ভায়া বাংলাদেশ ট্রেন পরিষেবা
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২৫, ০৪:১৮ PM , আপডেট: ২২ মার্চ ২০২৫, ০৪:১৮ PM

থমকে গেছে আগরতলা-ঢাকা-কলকাতা ট্রেন পরিষেবা। কবে থেকে শুরু হবে তা নিয়ে কোনো ধারণা নেই ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষের। এ পরিষেবা কবে থেকে চালু হবে তা নির্ভর করছে সরকারের উপর।
আগরতলা থেকে বাংলাদেশ হয়ে কলকাতা পৌঁছানোর কথা ছিল মাত্র ৮ ঘণ্টায়। এতে যোগাযোগ ব্যবস্থার পাশাপাশি হতো দুই দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার উন্নতি। কিন্তু সে রেলসেবা এখন থমকে আছে। দীর্ঘদিন আগে কাজ সম্পন্ন হওয়া এই রেলপথ কবে থেকে চালু হবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েই গেছে।
৫ আগস্ট বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগ এবং আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নতুন রেলপথ সম্পর্কিত দুই দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিক কোনো আলোচনা হয়নি। তবে ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ভিসা সেবা পুনরায় শুরু করায় পর্যটকেরা কিছুটা আশাবাদী। তবে এ বিষয়ে নর্থ ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ কর্মকর্তা কপিঞ্জল কিশোর শর্মা এখনই কোনো ইতিবাচক বার্তা দিতে পারেননি।
কিশোর শর্মা বলেন, এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। বাংলাদেশে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কোনও কিছু বলা যাচ্ছে না। নির্দিষ্ট করে কোনো দিনের কথা উল্লেখ না করলেও এই রেলপথ চালুর বিষয়ে আশাবাদী তিনি। এই রেলপথ চালু হয়ে গেলে মাত্র আট ঘণ্টাতেই আগরতলা থেকে ঢাকা হয়ে কলকাতা পৌঁছানো যাবে।
আগরতলা থেকে পদ্মাপারের দেশে প্রবেশের সময় ভারতের শেষ স্টেশন হিসেবে নিশ্চিন্তপুর বর্তমানে খাঁ খাঁ করছে। এই স্টেশনটি, যেখানে ইমিগ্রেশনসহ বিভিন্ন সুবিধা রয়েছে, বর্তমানে প্রতি ১২ ঘণ্টায় দুইজন নিরাপত্তারক্ষী দ্বারা দেখা-শোনা করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নিরাপত্তারক্ষী বলেন, মাঝেমধ্যেই জিনিসপত্র চুরি হচ্ছে স্টেশন থেকে। পানির ট্যাপ, লোহার রড খুলে নিয়ে পালাচ্ছে কেউ কেউ। এতো বড় স্টেশন, দুজন মিলে সামলানো কঠিন। তবে নিরাপত্তারক্ষী চুরির অভিযোগ আনলেও, এই বিষয়ে তার কাছে কোনো খবর নেই বলে জানিয়েছেন নর্থ ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক।
ত্রিপুরার বর্তমান প্রজন্ম এই রেলপথ নিয়ে অনেক আশাবাদী ছিল, কারণ সরকার জানিয়েছিল যে এই রেললাইন অনেক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে।