মণিপুরে বাংলাদেশি সন্দেহে আটক ২৯

ভারতের সেভেন সিস্টার্সের মণিপুর রাজ্যে ২৯ জন সন্দেহভাজন বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে। রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং একথা জানিয়েছেন। তার দাবি, আটককৃতদের কাছ থেকে আধার কার্ডও পাওয়া গেছে। উত্তর-পূর্ব ভারতের আরেক রাজ্য আসাম থেকে এসব আধার কার্ড ইস্যু করা হয়েছিল।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস ও এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মণিপুরের ইম্ফল পশ্চিম জেলায় ২৯ জন সন্দেহভাজন বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে বলে রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং সোমবার জানিয়েছেন। তাদের কাছে আসাম থেকে ইস্যু করা আধার কার্ডও পাওয়া গেছে।

তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ সোমবার মায়াং ইম্ফল বেঙ্গুন এলাকায় একটি বেকারিতে অভিযান চালিয়ে সেখানে কর্মরত সন্দেহভাজন এই বাংলাদেশিদের গ্রেপ্তার করে।

মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং আরও জানিয়েছেন, পুলিশের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে, ওই ২৯ জন মায়াং ইম্ফল বেঙ্গুন এলাকায় একটি বেকারি কারখানায় কাজ করেন। পরে সেখানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আটককৃতদের কাছ থেকে আসামের আধার কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করেছে পুলিশ। তারা মণিপুর সরকারের ইনার লাইন পারমিট (আইএলপি) নীতি লঙ্ঘন করেছেন।”

মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, যেহেতু আটককৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া নথিতে আসামের উল্লেখ রয়েছে, তাই তাদের আসাম প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হতে পারে।

শুধু তাই নয়, রাজস্ব দপ্তরের যে কর্মী ও কর্মকর্তারা ওই ২৯ জনের নামে আইএলপি ইস্যু করেছিলেন, তাদের সাসপেন্ড করা হবে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

তার কথায়, “কেন্দ্রীয় সরকার মণিপুরের মানুষকে আইএলপি ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। তার একটাই লক্ষ্য, তা হলো-রাজ্যবাসীকে সুরক্ষা প্রদান করা। কিন্তু, যাদের সেই কাজ করতে হবে, তারাই যদি এই ধরনের দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকেন, তাহলে এর ফল কী হবে? আমাদের আশঙ্কা, খুব সম্ভবত বাংলাদেশ থেকে বেআইনিভাবে মণিপুরে ঢুকেছেন কিছু মানুষ।”


সর্বশেষ সংবাদ