১৬৫ শিশুর বাবা এই গণিত শিক্ষক, গর্ভবতী আরও ১০ নারী
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৪, ১২:০৮ PM , আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৪, ১২:০৮ PM
ইলন মাস্ককে (৫২) ছাপিয়ে গিয়েছেন ৪৮ বছরের অ্যারি নাগেল নামের এই শিক্ষক। বিশ্বের ১৬৫ জন বাচ্চার গর্বিত বাবা তিনি। এখনও আরও ১০ জন নারীও বহন করছেন তাঁরই সন্তান।
অ্যারি থাকেন আমেরিকার ব্রুকলিনে। তিনি পেশায় একজন গণিত শিক্ষক। এর পাশাপাশি আরও একটি বিশেষ কাজ করেন অ্যারি। স্পার্ম ডোনার হিসেবেও কাজ করেন তিনি।
তিনি বলেন, বিশ্বের প্রতিটি কোণে স্পার্ম ডোনেট করেছি আমি। এই কাজের জন্য আমার একটি বিশেষ নামও আছে, 'স্পারমিনেটর'।
জানা গেছে, গত ১২ জুন, ১৬৫ তম সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন নাগেল। নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, তাঁর ১৬৫তম সন্তানের জন্মের পর অ্যারি বলেছিলেন যে তার ৫০ বছর বয়স হলে, তারপরই তিনি এই স্পার্ম ডোনারের কাজ বন্ধ করবেন। এর পিছনেও রয়েছে কারণ। ব্যক্তিটি আশঙ্কা করছেন যে ৫০ বছর বয়সের পর স্পার্ম ডোনেট করা উচিত হবে না। এর দরুণ, জন্মের পর শিশুর মধ্যে অটিজমের মতো গুরুতর মানসিক রোগ দেখা ফিতে পারে। উল্লেখ্য, আসন্ন অগস্ট মাসে ৪৯ বছর বয়স হবে অ্যারির।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যারি প্রতি সপ্তাহে ১-২ জন মহিলাকে স্পার্ম দান করেন। এ জন্য তাঁরা অনেক ক্লিনিক ও হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। তার প্রথম ছেলের বয়স ২০ বছর। তাঁর নাম টাইলার। নিজেদের সন্তানদের প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে, আমেরিকা, কানাডা, এশিয়া, আফ্রিকা এবং ইউরোপের ১০ জন মহিলা তাঁর স্পার্মেই গর্ভবতী। জিম্বাবুয়ে এবং লং আইল্যান্ডেও জুলাই মাসে হতে চলেছে তাঁর পরবর্তী সন্তানের। আর ইসরায়েল এবং কুইন্সের শিশুরা আগস্ট মাসে জন্ম নেবে।
বিশেষ বিষয় হল অ্যারি তাঁর শতাধিক সন্তানের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। ফাদার্স ডে-ও উপভোগ করেছেন। স্পার্মিনেটর নিজেই বলেছেন যে তিনি তাঁর অনেক ছেলে মেয়ের সঙ্গেই ঘন ঘন দেখা করেন। তাঁর সন্তানদের মধ্যে ৫৬ জনই নিউইয়র্কে থাকেন। আর ২০ জন নিউ জার্সিতে এবং ১৩ জন কানেকটিকাটে থাকেন।
যদিও, আবেগের সুরে তিনি আরও জানিয়েছেন যে অনেক মহিলাই চান না যে তিনি বাচ্চাদের সঙ্গে দেখা করুন। এরি বলেছেন যে তিনি প্রতিটি সন্তানের নাম, জন্মদিন, ঠিকানা এবং ফোন নম্বর সহ একটি স্প্রেডশীট সঙ্গে রাখেন সবসময়। তবে, একজন ভালো বাবা হওয়ার প্রশ্নে তাঁর উত্তর, আমি কখনওই আমার সন্তানদের জন্য ততটা ভালো বাবা হতে পারব না, যতটা আমার বাবা আমার কাছে ছিলেন।