যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইলি গণহত্যা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ

বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার সুযোগ দেবে ইয়েমেনের হুতি

  © সংগৃহীত

গাজায় ইসরাইলি গণহত্যা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভকারী মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যেসব শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে তাদের ইয়েমেনে পড়াশুনার সুযোগ দেয়া হবে। এমনটাই জানিয়েছেন দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি। বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীদের ইয়েমেনের বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার প্রস্তাব দিয়েছে গোষ্ঠীটি।

ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধের দাবিতে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের সাথে সংহতি জানিয়ে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শুরু হয় ছাত্র আন্দোলন ও বিক্ষোভ। যা কয়েকদিনের ব্যবধানে তীব্র রূপ নিয়েছে। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন গণহত্যাবিরোধী শিক্ষকরাও।

এখন থেকে প্রায় দুই সপ্তাহ আগে বিশ্বের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই শুরু হয় ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভ। পরে তা দেশটির অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে কমপক্ষে ৫০টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন চলছে।

গণহত্যার প্রতিবাদে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের স্বতস্ফূর্ত এই আন্দোলনে শুরু থেকেই শক্তি প্রয়োগের পথে হেঁটেছে কর্তৃপক্ষ। ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে চলমান আন্দোলন থেকে বিক্ষোভকারীদের ধরপাকড় করছে পুলিশ।

সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে সশস্ত্র হামলাও করছে তারা। সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৮ এপ্রিল শুরু হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক এ আন্দোলন থেকে দুই হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

শুধু গ্রেফতারই নয়, বিক্ষোভে অংশ নেয়ায় নিয়মবহির্ভূতভাবে শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারও করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ভারতীয় ও বাংলাদেশিসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর বহিষ্কারের খবর জানা গেছে।

বহিষ্কার হওয়া এসব শিক্ষার্থীকে ইয়েমেনের সানা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নের প্রস্তাব দিয়েছে হুতি বিদ্রোহী। ইয়েমেনের রাজধানী সানায় অবস্থিত সানা বিশ্ববিদ্যালয় হুতিদের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে যেসব শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে, আমরা তাদের স্বাগত জানাচ্ছি। আমরা সম্ভাব্য যেকোনো উপায়ে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে আমাদের লড়াই চালিয়ে যাব।

 

সর্বশেষ সংবাদ