আনুষ্ঠানিকভাবে ইমরান খানের পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্ররা যোগ দিলেন যে দলে

পাকিস্তানের কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্র বিজয়ী প্রার্থীদের প্রায় সবাই সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলে (এসআইসি) যোগ দিয়েছেন। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দেশটির নির্বাচন কমিশনে হলফনামা জমা দেওয়ার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দলটিতে যোগ দেন তারা।

এর আগে গত রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের-পিটিআই জোট গঠনে সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলের সাথে চুক্তি করেছিল। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।

দ্য ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের প্রায় সব পিটিআই-সমর্থিত বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী বুধবার নির্বাচন কমিশনে হলফনামা জমা দিয়েছেন। আর এর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলে (এসআইসি) যোগদান করেছেন তারা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে জয়ী জাতীয় পরিষদের ৮৯ জন এমএনএ, খাইবার পাখতুনখাওয়া অ্যাসেম্বলির ৮৫ জন, পাঞ্জাব অ্যাসেম্বলির ১০৬ জন এবং সিন্ধ অ্যাসেম্বলির ৯ জন সদস্য বুধবার নির্বাচন কমিশনে তাদের হলফনামা জমা দিয়েছেন।

মূলত হলফনামা জমা দেওয়ার মাধ্যমে পিটিআইয়ের সেই দাবির প্রমাণ মিলল যে তারা জাতীয় পরিষদের ৯৩টি আসন জিততে পেরেছে। অন্যদিকে ওমর আইয়ুব খান, ব্যারিস্টার গহর খান এবং আলী আমিন গন্ডাপুরসহ তিনজন দলীয় নেতা হলফনামা জমা দেননি। আর দাওয়ার কুন্দি নামে অন্য একজন প্রার্থীর নামে এখনও ইসিপির বিজ্ঞপ্তি জারি হয়নি।

দ্য ডন বলছে, ওমর আইয়ুব খান এবং ব্যারিস্টার গহর ইচ্ছাকৃতভাবে এসআইসি সদস্য হওয়ার জন্য হলফনামা জমা দেননি কারণ তারা পিটিআইয়ের আন্তঃদলীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পরিকল্পনা করছেন। আর আলী আমিন গন্ডাপুরও হলফনামা দাখিল করেননি, কারণ তিনি খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য পিটিআইয়ের প্রার্থী হিসাবে মনোনীত হয়েছেন।

পিটিআইয়ের বেশ কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, ওমর আইয়ুব এবং গহর খান ব্যতীত জাতীয় পরিষদের ও প্রাদেশিক পরিষদের পিটিআই সমর্থিত জয়ী সকল প্রার্থী এসআইসিতে যোগদান করেছেন। এমনকি জাতীয় পরিষদের নির্বাচিত দুই সদস্য চৌধুরি ইলিয়াস এবং ব্রিগেডিয়ার (অবসরপ্রাপ্ত) মুহাম্মদ আসলাম ঘুম্মান নিখোঁজ থাকলেও তাদের হলফনামাও ইসিপিতে জমা দেওয়া হয়েছে।

এর আগে, দেশটিতে জাতীয় নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হয় গত ৮ ফেব্রুয়ারি। এরপর চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশে সময় লাগে তিন দিন। কিন্তু দেখা যায়, এককভাবে সরকার গঠনের জন্য কোনো দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। এমনকি নির্বাচন পরবর্তী জোট গঠন নিয়েও জটিল পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে। কোনো দলই ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারছে না।

তাছাড়া বড় ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে এখনও বিক্ষোভ করছে ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইনসাফ তথা পিটিআই। দলটির দাবি তাদের সমর্থিত প্রার্থীরা ১৫০টির বেশি আসনে জয় পেলেও তা কারচুপি করে ৯২টি করে দেওয়া হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ