বিদেশি শিক্ষার্থীদের যে দুঃসংবাদ দিল কানাডা

  © সংগৃহীত

কানাডায় দিন দিন আবাসন সংকট তীব্র হয়ে উঠার জন্য প্রতি বছর বিভিন্ন দেশ থেকে স্রোতের মতো আসতে থাকা শিক্ষার্থী ও অভিবাসীদের দায়ী করেছেন সে দেশের অর্থনীতিবিদরা। নাগরিকদের আবাসন ক্রয়ক্ষমতার সংকটের জন্য কানাডার সরকার সম্প্রতি সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে কানাডায় বসবাসের অনুমতিপ্রাপ্ত আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সংখ্যা অটোয়া কমানোর কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন দেশটির অভিবাসন মন্ত্রী মার্ক মিলার।

রোববার (১৪ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। কানাডা সরকার প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে বাংলাদেশী অভিবাসী রয়েছে ৭০ হাজার ৯০ জন। এর মধ্যে ২০১১ থেকে ২০২১—এক দশকে গিয়েছে ২৫ হাজার ৩৬০ জন। তার মধ্যে ২০১১-১৫ সাল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে গিয়েছে ১২ হাজার ১৮৫ জন। ১৩ হাজার ১৮৫ জন গিয়েছে ২০১৬-২১ সালের মধ্যে।

স্থানীয় সিটিভি টেলিভিশনে দেয়া সাক্ষাৎকারে অভিবাসন মন্ত্রী মার্ক মিলার বলেন, ক্ষমতাসীন লিবারেল সরকার এই বছরের প্রথম এবং দ্বিতীয় প্রান্তিকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সংখ্যা সীমাবদ্ধ করে দেয়ার কথা বিবেচনা করছে।

কানাডায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সংখ্যা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি বিরক্তিকর। এটি এমন একটি সিস্টেম যা সত্যিই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। তবে দেশটিতে কত সংখ্যক আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী কমানো হবে সে সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। 

কানাডার সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে সক্রিয় ভিসাসহ ৮ লাখেরও বেশি বিদেশি শিক্ষার্থী কানাডায় অবস্থান করছিলেন। ২০১২ সালে এই সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৭৫ হাজার।


সর্বশেষ সংবাদ