বাইডেনের বক্তব্য থামিয়ে গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান ইহুদি নারীর
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৩, ০৩:৫০ PM , আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২৩, ০৪:২৪ PM
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে বক্তৃতার মাঝপথে থামিয়ে দিয়ে গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন এক ইহুদি নারী। বুধবার (১ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটায় আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারে বক্তব্য দিচ্ছিলেন জো বাইডেন। সেখানেই আকস্মিক এই ঘটনা ঘটে। খবর আল জাজিরা
ওই নারী বলেন, ‘মাননীয় প্রেসিডেন্ট, আপনি ইহুদিদের প্রতি যত্নশীল। একজন র্যাবাই (ইহুদি ধর্মীয় নেতা) হিসেবে আমি আপনাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, এখনই যুদ্ধবিরতি কার্যকর করুন।’ ওই নারী পরে নিজেকে র্যাবাই জেসিকা রোজেনবার্গ হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।
এ সময় বাইডেন তার দাবির জবাবে বলেন, আমার মনে হয়, এখন একটি বিরতি দরকার। রোজেনবার্গ আবার বাইডেনের কথায় বাধা দিয়ে বলেন, কীসের বিরতি? জবাবে বাইডেন বলেন, এই বিরতির মানে, হামাসের হাতে জিম্মিদের মুক্তির জন্য সময় দেওয়া দরকার।
বাইডেন আরও বলেন, আমি জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে এরই মধ্যে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। গুরুতর আহত ও বিদেশিরা যাতে রাফাহ সীমান্ত দিয়ে গাজা থেকে বেরিয়ে আসতে পারে সে বিষয়ে আমি মিশরের প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও আলাপ করেছি।
বাইডেনের সামনে থেকে নিরাপত্তাকর্মীরা যখন রোজেনবার্গকে সরিয়ে নিচ্ছিলেন, তখন তিনি স্লোগান দিতে থাকেন যে, এখনই যুদ্ধবিরতি চাই।
আরও পড়ুন: স্থল অভিযানে গিয়ে হামাসের হামলায় ১৭ ইসরায়েলি সেনা নিহত
বাইডেন তার বক্তব্যে বলতে থাকেন, ইসরায়েল ও মুসলিম বিশ্ব উভয় পক্ষের জন্যই পরিস্থিতি খুব জটিল হয়ে পড়েছে। একদম প্রথম থেকেই আমি দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানকে সমর্থন করি, কিন্তু বাস্তবতা হলো, হামাস একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। তাদের নির্মূলের প্রয়োজন রয়েছে।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় চালানো ইসরায়েলি হামলার সবচেয়ে বড় সমর্থক যুক্তরাষ্ট্র। গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায়। ওই হামলার জবাবে গাজায় নির্বিচারে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। সেই হামলা এখনো অব্যাহত রয়েছে।
গাজার বেসামরিক নাগরিকদের ওপর এমন বর্বর হামলার জেরে বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠলেও, ইসরায়েলকে নগ্ন সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে বাইডেন প্রশাসন। অসম এ যুদ্ধে শুরু থেকেই ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর পাশে ছিলেন জো বাইডেন। যুদ্ধের পর কয়েকবার তেল আবিবেও সফর করেছেন তিনি। ইসরায়েলের সহায়তায় দুটি বিমানবাহী রণতরীসহ প্রায় এক হাজার সেনা পাঠিয়েছে ওয়াশিংটন।
নেতানিয়াহুকে এমন অযৌক্তিক সমর্থনে নিজ দেশেই ব্যাপক সমালোচিত হচ্ছেন বাইডেন। প্রতিবাদের মুখে হামাসকে নির্মূলে ইসরায়েলকে দেওয়া বিশাল অঙ্কের অর্থসহায়তাও দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে আটকে গেছে। এমনকি, বাইডেনের এমন আচরণের জেরে আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাইডেনকে ভোট না দেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন আমেরিকান মুসলিমরা।