যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বসছে মাদক চিহ্নিতকরণ প্রযুক্তি, ধরা পড়লেই ব্যবস্থা
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৩, ১২:৩০ PM , আপডেট: ২৮ আগস্ট ২০২৩, ১২:৩৮ PM
ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদক চিহ্নিতকরণে প্রযুক্তি ব্যবহারের চিন্তা করছে কর্তৃপক্ষের। ডিভাইসের মাধ্যমে চিহ্নিত করা হবে মাদক। কেউ মাদক বহন করলে তাকে ধরা যাবে। এ তথ্য জানিয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর যাদবপুরে বিধিনিষেধ কড়াকড়ি করা হয়েছে। ক্যাম্পাসে মাদক নিষিদ্ধ রয়েছে। মাদকসহ ধরা পড়লে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জিনিউজ জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ব্যবহার করা যায় না, এমন সামগ্রীসহ কেউ ধরা পড়লেই বা সেরকম কোনও কাজ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশে আগেই বাধ্যতামূলক হয়েছে পরিচয়পত্র। আইডি কার্ড দেখে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। রাত ৮টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত চালু থাকবে এ নিয়ম। পরিচয়পত্র ছাড়া ক্যাম্পাসে প্রবেশ করা যাবে না।
পাশাপাশি ক্যাম্পাসে যাতে বহিরাগত কেউ না ঢোকে, সেজন্য মোতায়েন করা হচ্ছে এক্স-সার্ভিসম্যানদের। প্রতিটি গেটে এবং হোস্টেলের গেটে এক্স-সার্ভিসম্যান মোতায়েনের আদেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ৩০ জন এক্স-সার্ভিসম্যান নিয়োগ করা হবে। প্রতি শিফটে ১৫ জন করে কাজ করবেন। থাকবেন ২ জন সুপারভাইজার। মূলত গেট দিয়ে যাতে অবাঞ্ছিত কেউ না ঢুকতে পারে সে দিকে নজর রাখবেন এই এক্স-সার্ভিসম্যানরা। প্রয়োজন হলে রাতেও টহল দেবে।
বাড়ছে সিসিটিভির নজরদারিও। ইতিমধ্যেই ক্যাম্পাসে সিসিটিভি বসানোর ওয়ার্ক অর্ডার ইস্যু করেছে কর্তৃপক্ষ। ১০টি জায়গায় দু'ধরনের সিসিটিভি ক্যামেরা বসবে। ২১টি বুলেট ক্যামেরা আর ৫টা এএনপিআর ক্যামেরা বসবে। র্যাগিং রুখতে যাদবপুরের অন্তবর্তী উপাচার্যকে ইসরোর সঙ্গে কথা বলতেও পরামর্শ দেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। তাকে সাহায্যের আশ্বাস দেয় ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থাও।
বিষয়টি ফলপ্রসূ করতে এগিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে দেন রাজ্যপাল। এরপরই ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথের সঙ্গে কথা বলেছেন বুদ্ধদেব।