আত্মহত্যা নিষিদ্ধ ঘোষণা কিম জং উনের

কিম জং উন
কিম জং উন  © সংগৃহীত

আত্মহত্যার ঘটনা উত্তর কোরিয়ায় সর্বোচ্চ আকার ধারণ করেছে। এ অবস্থায় একটি গোপন নির্দেশনার মাধ্যমে আত্মহত্যাকে বেআইনি এবং নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। এক ‘গোপন আদেশে’ আত্মহত্যাকে সমাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। সেখানে স্থানীয় সরকারকে আত্মহত্যা কমাতে উদ্যোগ নেয়ার কথা বলা হয়েছে।

বুধবার (৭ জুন) ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য মিরর-এর এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা গেছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ায় আত্মহত্যার প্রবণতা মারাত্মকভাবে বেড়ে গেছে। একটি গোয়েন্দা সূত্রের তথ্যমতে, গত বছরের তুলনায় দেশটিতে এবার আত্মহত্যার হার ৪০ শতাংশ বেশি। এ বিষয়ে উত্তর কোরিয়ার ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স সার্ভিসের এক মুখপাত্র বলেন, ‘দেশের অভ্যন্তরীণ অস্থিতিশীলতার কারণে মানুষের মনে অনেক কষ্ট জমা হচ্ছে।’

দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার এক মুখপাত্র বলেছেন, উত্তর কোরিয়ায় অভ্যন্তরীণভাবে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এর মূলে রয়েছে সাধারণ মানুষের কষ্ট। মানুষ অনাহারে মারা যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে চলা রেডিও ফ্রি এশিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জরুরি বৈঠকের মাধ্যমে উত্তর কোরিয়াজুড়ে আত্মহত্যা বন্ধের আদেশটি দেওয়া হয়েছে।

রেডিও ফ্রি এশিয়া জানিয়েছে, আত্মহত্যা নিয়ে দেশজুড়ে জরুরি বৈঠকের মাধ্যমে কিম জং উন-এর গোপন নির্দেশনাটি প্রদান করা হয়। একটি বৈঠকের আলোচনায় উঠে আসে-দেশটির চংজিন সিটি ও কিয়ংসং অঞ্চলে চলতি বছর ৩৫টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে বেশির ভাগ ঘটনায় দেখা গেছে-কোনো একটি পরিবারের সবাই মিলে আত্মহত্যা করেছেন।

আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে স্কুলছাত্রীদের উপর বিষ প্রয়োগ

ওই বৈঠকে অংশ নেওয়া এক দাপ্তরিক বলেন, ‘বেশির ভাগ আত্মহত্যাই দারিদ্র্য এবং ক্ষুধাজনিত কারণে ঘটছে। এ অবস্থাটি তাৎক্ষণিকভাবে বদলে দেওয়ারও কোনো উপায় নেই।’ বৈঠকে কয়েকটি আত্মহত্যার ঘটনা পর্যালোচনার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘হাইসান শহরে ক্ষুধার কারণে বাবা-মা মারা গেলে ১০ বছর বয়সী এক বালক তার দাদির সঙ্গে বাস করত। কিন্তু পরে ইঁদুরের বিষ পান করে ওই দাদি-নাতিও আত্মহত্যা করেছে।’


সর্বশেষ সংবাদ