রুশ ভাষায় না পড়ানোয় নির্যাতন করা হয় শিক্ষকদের

প্রধানশিক্ষক লিলিয়া সাইরুস
প্রধানশিক্ষক লিলিয়া সাইরুস

রাশিয়ার অধিকৃত অনেক অঞ্চলেই রুশ সেনারা নির্যাতন চালিয়েছে। তার থেকে বাদ যায়নি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরাও। সম্প্রতি বিবিসির প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে সেই তথ্য।

শনিবার (১ অক্টোবর) বিবিসি তার প্রতিবেদনের জানায়, ইউক্রেনীয় বাহিনী গত দুই সপ্তাহে ছয় হাজার বর্গকিলোমিটার অঞ্চল রুশ সেনাদের দখল থেকে পুনরুদ্ধার করেছে। গত ছয় মাস ধরে শত্রুর নিয়ন্ত্রণে থাকা ওই সব অঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রুশ ভাষায় রুশ পাঠক্রম পড়াতে বাধ্য করা হয়েছে অনেক শিক্ষককে। কিন্তু রুশপক্ষের নির্দেশ প্রত্যাখ্যান করায় নির্যাতনের শিকার হয়েছেন অনেক শিক্ষক।

তেমনই একজন প্রধান শিক্ষিকা লিদিয়া তিলনা। তিনি জানান, রুশ পাঠ্যসূচি অনুসরণ করতে অস্বীকৃতি জানানোয় তাঁকে আটক করে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে।

বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, রুশ সেনারা এলাকা দখল করে প্রথমেই স্কুলের বইপত্র, ইউক্রেনীয় পতাকা, শিশুতোষ কার্যক্রম ধ্বংস করে দেয়। রুশ পক্ষ দুই হাজার ২০০ বইয়ের একটি তালিকা দিয়ে বলেছিল, সেগুলো যেন ধ্বংস করে ফেলা হয়। কিন্তু  বইগুলো লুকিয়ে ফেলেন তিনি।

আরও পড়ুন: স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্মার্টফোন বন্ধ করবেন যেভাবে। 

অপরদিকে বালাক্লিয়া ফাইভ স্কুলের উপপরিচালক ইনা মান্দ্রিকা বলেন, স্কুলটার্মের শুরুতে আমাদের বলা হয়েছিল, আমরা যেন ছেলেমেয়েদের পড়াই যে ইউক্রেন রাশিয়ারই ভূখণ্ড ছিল, যার নাম ছিল মালোরুশিয়া (ছোট রাশিয়া)। সেই নির্দেশ মানতে নির্ভীকভাবে অস্বীকার করায় আমাকে পদ হারাতে হয়েছে।

আরও তিক্ত অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছেন ৬০ বছর বয়সী প্রধান শিক্ষিকা লিদিয়া টিনা। ৪০ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন টিনা রুশ পক্ষের কথা না শোনায় তাঁকে ১৯ দিন আটকে রেখে মারধর করা হয়। তিনি ধরে নিয়েছিলেন, তাঁকে মেরে ফেলা হবে।


সর্বশেষ সংবাদ