সেসিপের চূড়ান্ত সুপারিশপত্র নিয়ে যা বললেন চেয়ারম্যান

এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান এনামুল কাদের খান
এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান এনামুল কাদের খান  © ফাইল ফটো

সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (সেসিপ) প্রকল্পে নিয়োগের প্রাথমিক সুপারিশপ্রাপ্ত ৬৬৪ জনের পুলিশ ভেরিফিকেশন চলমান রেখে চূড়ান্ত সুপারিশপত্র দিতে মন্ত্রণালয়ের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। অনুমতি পেলে দ্রুত সময়ের মধ্যে নিয়োগের সুপারিশপত্র দেয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) দুপুরে নিজ দপ্তরে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) চেয়ারম্যান এনামুল কাদের খান।

তিনি বলেন, সেসিপ প্রকল্পে নিয়োগের সুপারিশপ্রাপ্তদের পুলিশ ভেরিফিকেশন চলমান রেখে চূড়ান্ত সুপারিশপত্র দিতে আমরা মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছি। সেটি প্রক্রিয়াধীন আছে। মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলে চূড়ান্ত সুপারিশপত্র দিয়ে দেয়া হবে।

আরও পড়ুন: সুপারিশপ্রাপ্ত সবাইকে নিয়োগ দেওয়া হবে: এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান

এদিকে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ৩৪ হাজারের বেশি শিক্ষকের পুলিশ ভেরিফিকেশন চলমান রেখে নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশপত্র দেয়া হলেও সেসিপ প্রকল্পে ৬৬৪ জনকে সুপারিশপত্র না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রার্থীরা। বিষয়টি সমাধানে শিক্ষা মন্ত্রী, শিক্ষা সচিব ও এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপিও জমাও দিয়েছেন তারা। তবে এখনো এর কোনো সুরাহা হয়নি।

বিভিন্ন সময় জমা দেওয়া স্মারকলিপিতে প্রার্থীরা জানান, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) শিক্ষক নিয়োগের ৩য় গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ইতোমধ্যে ৩৮ হাজার শিক্ষকের চুড়ান্ত সুপারিশপত্র দেয়া হয়েছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় সেসিপ প্রকল্পে ৬৬৪ জন শিক্ষকের চূড়ান্ত নিয়োগ না হওয়ার কারণে বেকার, অসহায় এসব প্রার্থীরা চরম মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। অনিশ্চয়তা ও হতাশায় তাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে।

আরও পড়ুন: আগের নিয়মে হবে না চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি

তারা বলেন, মুজিববর্ষে আমাদের এই নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি। প্রিলি, রিটেন ও ভাইবা পাশ করে চূড়ান্ত নিয়োগ সম্পন্ন না হওয়ায় আমরা পারিবারিক, সামাজিক ও আর্থিকভাবে প্রতিনিয়ত চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। এদিকে সারাদেশে সেসিপ প্রকল্পের আওতাভুক্ত অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষক পদ শূন্য। যে উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে সেসিপ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল; শূন্যপদে যথাসময়ে শিক্ষক নিয়োগ করতে না পারায় সেই উদ্যোগ ভেস্তে যেতে বসেছে। শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ ঠিক রাখা, কার্যকরী পাঠদান ও ধারাবাহিকভাবে পরিচালনা করার জন্য সেসিপ প্রকল্পে আওতাভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ অত্যন্ত জরুরী।

তারা আরও জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদানের স্বাভাবিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ও দক্ষ শিক্ষকের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত পাঠদান নিশ্চিত করতে সেসিপ প্রকল্পে ৬৬৪ জন শিক্ষকের চূড়ান্ত যোগদান জরুরী। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে ৬৬৪ জন শিক্ষকের চূড়ান্ত সুপারিশপত্র প্রদানের দাবি জানাচ্ছি।


সর্বশেষ সংবাদ