চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি হতে পারে মার্চের শেষ দিকে: চেয়ারম্যান
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৮:৩৮ AM , আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৯:২০ AM
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) চেয়ারম্যান এনামুল কাদের খান বলেছেন, বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে মার্চের শেষ দিকে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। এর আগে ফেব্রুয়ারিতে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে নতুন নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়।
এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান বলেন, তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশপ্রাপ্ত কেউ যোগদান না করলে দ্বিতীয় মেধাতালিকা করে নিয়োগের সুপারিশ করা হবে। এছাড়া ফেব্রুয়ারিতে আরও ১৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগের উদ্দেশে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। আর মার্চের শেষ দিকে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
আরও পড়ুন: ৪ হাজার পদে পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগ, কোন জেলায় কত পদ
এনামুল কাদের খান আরও বলেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছিল। এর মধ্যে ৩৪ হাজার ৭৩ জনকে চূড়ান্ত সুপারিশপত্র দেয়া হয়েছে। এখনো ১৫ হাজারের বেশি পদ ফাঁকা রয়েছে। এই পদগুলো পূরণে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
এদিকে এনটিআরসিএর একটি সূত্র জানিয়েছে, তিনটি কারণে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সময় পেছাবে। এর মধ্যে পুলিশ ভেরিফিকেশন চলমান থাকা, নতুন জাতীয়করণ হওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তথ্য হালনাগাদ করা এবং ভেরিফিকেশন ফরম না পাঠানো প্রার্থীদের পুনরায় সুযোগ দেয়া অন্যতম।
আরও পড়ুন: ছাত্রদলে নিয়োমিত শিক্ষার্থী নেই একজনও
এ প্রসঙ্গে গত রবিবার এনটিআরসিএ সদস্য (পরীক্ষা মূল্যায়ন ও প্রত্যয়ন) এ বি এম শওকত ইকবাল শাহীন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, শূন্য পদের সঠিক সংখ্যা বের করতে হলে সুপারিশপ্রাপ্তদের স্থায়ী নিয়োগ সম্পন্ন হতে হবে। এছাড়া ভি রোল ফরম যারা পাঠায়নি তাদের জন্য শূন্য পদের সঠক তথ্য বের করা যাবে। এই কাজগুলো শেষ হলে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির কাজ শুরু করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩০ মার্চ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে বিভিন্ন পদে ৫৪ হাজার ৩০৪ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। তবে মহিলা কোটায় প্রার্থী না পাওয়ায় এবং আবেদন না করায় ১৫ হাজারের অধিক পদ ফাঁকাই রয়ে যায়।