প্রিলি পাস ও পছন্দের প্রতিষ্ঠানে সুপারিশের প্রলোভন, ব্যবস্থা নেবে এনটিআরসিএ

প্রতারণামূলক পোস্ট ও এনটিআরসিএ’র লোগো
প্রতারণামূলক পোস্ট ও এনটিআরসিএ’র লোগো  © সংগৃহীত

১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিতে উত্তীর্ণ করে দেওয়া এবং ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে পছন্দের প্রতিষ্ঠানে সুপারিশের প্রলোভন দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) কেন্দ্রীক বিভিন্ন গ্রুপে এ ফাঁদ পেতেছে একটি চক্র। এই চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে এনটিআরসিএ।

এনটিআরসিএ বলছে, শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা ও গণবিজ্ঞপ্তির সকল কার্যক্রম সফটওয়্যারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে করা হয়। ফলে এখানে ফল পরিবর্তন কিংবা পছন্দের প্রতিষ্ঠান সুপারিশ করার ক্ষমতা কারো নেই। প্রাপ্ত নাম্বার এবং মেধাক্রমের ভিত্তিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সব করা হয়।

নিবন্ধনে পাস কিংবা সুপারিশের প্রলোভনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে এনটিআরসিএ সচিব ওবায়দুর রহমান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, একটি অসাধু চক্র নিবন্ধন পরীক্ষার্থী এবং চাকরিপ্রার্থীদের সাথে প্রতারণা করছে। এসব প্রতারণা ফাঁদে প্রার্থীদের পা না দেওয়ার আহবান জানান তিনি।

আরও পড়ুন: ৫ম গণবিজ্ঞপ্তির সুপারিশ নিয়ে সুখবর দিল এনটিআরসিএ

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এনটিআরসিএ ৫ম গণবিজ্ঞপ্তি ও পৃথক বদলী বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাশী শিক্ষক ফোরাম’ নামক ফেসবুকের একটি গ্রুপে একাধিক আইডি থেকে প্রতারণার পোস্ট করা হচ্ছে। জাহিন আহমেদ, হানিফ খান, মশিউর রহমান এবং মো. খালেক নামক আইডি থেকে প্রতারণার পোস্ট করা হচ্ছে। এর মধ্যে প্রথম তিনজন ১৭তম নিবন্ধনের প্রিলিতে পাশ করার এবং মো. খালেক ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে পছন্দের প্রতিষ্ঠানে সুপারিশ পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে পোস্ট করেছেন।

জাহিন আহমেদ, হানিফ খান এবং মশিউর রহমান নামক আইডি থেকে পোস্ট করে বলা হচ্ছে, ‘যারা প্রিলিতে টিকেন নি আইডিতে দ্রুত মেসেজ দিবেন আমরা ১০০% কাজ করে প্রিলিতে ৬৫+ করে টিকিয়ে দিব ইনশাআল্লাহ আজই আপডেট রেজাল্ট এর সময় শেষ হতে যাচ্ছে স্কুল-কলেজ ২ টার কাজই হচ্ছে আলহামদুলিল্লাহ।’

বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নিতে প্রার্থী সেজে যোগাযোগ করা হয় জাহিন আহমেদ নাম ফেসবুক আইডিতে। মেসেজ করার সঙ্গে সঙ্গে ফিরতি মেসেজে বলা হয়, প্রিলিতে পাস করতে মোট সাড়ে ৮ হাজার টাকা লাগবে। এর মধ্যে চার হাজার টাকা অগ্রিম দিতে হবে। আর বাকি টাকা কাজ হওয়ার পর। কাজ করা হবে এনটিআরসিএ এবং বুয়েটের মাধ্যমে।

প্রতারক চক্রটি প্রার্থীদের বিশ্বাস অর্জন করতে নানা নিয়োগের সময় প্রার্থীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া টাকার স্ক্রিনশট, কিছু প্রার্থীর সুখবর সম্বলিত স্ক্রিনশট মেসেঞ্জারে পাঠাচ্ছেন। প্রতারণার ফাঁদে পরে কেউ টাকা পাঠালে সঙ্গে সঙ্গে তাকে ব্লক করে দেওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে এনটিআরসিএ’র সচিব বলেন, ফেসবুকের যে আইডিগুলো থেকে প্রতারণা করা হচ্ছে সেগুলো আমরা সংগ্রহ করছি। এই আইডিগুলো সাইবার ক্রাইম ইউনিটে পাঠানো হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রতারকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।


সর্বশেষ সংবাদ