৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন কম হওয়ার কারণ জানাল এনটিআরসিএ

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ  © ফাইল ছবি

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রায় ৯৭ হাজার শিক্ষক নিয়োগের ৫ম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। বিপুল সংখ্যক পদ থাকলেও আবেদন করেছেন মাত্র ২৩ হাজার ৯৩২ জন। এই অবস্থায় আবেদন কম পড়ার কারণ খুঁজতে শুরু করে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।

এনটিআরসিএ’র কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সনদের মেয়াদ বেধে দেওয়া, ইনডেক্সধারীদের আবেদনের সুযোগ না দেওয়া এবং ১৭তম নিবন্ধনে উত্তীর্ণদের একটি অংশ আবেদনের সুযোগ না পাওয়ায় ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন কম পড়েছে। ইনডেক্সধারী এবং সনদের মেয়াদ বেধে না দিলে আবেদন সংখ্যা আরও বাড়ত বলে মনে করছে সংস্থাটি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনটিআরসিএর সচিব ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে প্রায় ২৪ হাজারের মতো আবেদন পড়েছে। এর পেছনে অন্যতম কারণ ৩৫ বছর ঊর্ধ্বরা আবেদন করতে না পারা এবং নিবন্ধন সনদের মেয়াদ তিন বছর নির্ধারণ করে দেওয়া। এ ব্যাপারে আদালতের নির্দেশনা রয়েছে। ফলে আমাদের করার কিছু নেই।’

এনটিআরসিএ’র একটি সূত্র জানিয়েছে, ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে ৩৫ ঊর্ধ্ব বয়সীরা আবেদন করতে না পারায় এবং নিবন্ধনের সনদ তিন বছর হওয়ায় এই গণবিজ্ঞপ্তিতে শুধু ১৬ ও ১৭তম নিবন্ধনে উত্তীর্ণরাই আবেদন করতে পেরেছেন। কিন্তু ১৬তম নিবন্ধনে উত্তীর্ণদের বেশির ভাগের চাকরিই চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে হয়ে গেছে। ফলে ১৭তম নিবন্ধনে উত্তীর্ণ ২৩ হাজার ৯৮৫ জনের মধ্যে যাঁদের আবেদনের সুযোগ ছিল তাঁরাই পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করেছেন। এতে স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লক্ষাধিক পদ শূন্য থাকলেও মাত্র এক-চতুর্থাংশ আবেদন জমা পড়েছে।

এর আগে গত ৩১ মার্চ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৯৬ হাজার ৭৩৬টি পদে শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৪৩ হাজার ২৮৬টি এবং মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে ৫৩ হাজার ৪৫০টি পদে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন গ্রহণ শেষ হয়েছে গত ৯ মে। ১০ মে রাত ১২টা পর্যন্ত আবেদনের ফি জমা দিতে পেরেছেন আবেদনকারীরা।


সর্বশেষ সংবাদ