গণবিজ্ঞপ্তিতে কারা আবেদন করতে পারবেন—জানাল মন্ত্রণালয়

এনটিআরসিএ লোগো
এনটিআরসিএ লোগো  © ফাইল ছবি

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের ক্ষেত্রে নতুন পরিপত্র জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরিপত্রে উল্লেখিত যোগ্যতা না থাকলে গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করতে পারবেন না। 

গত বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব (বেসরকারি মাধ্যমিক-২) সুহেল মাহমুদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ পরিপত্র জারি করা হয়। পরিপত্রটি আজ রোববার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। 

পরিপত্রে আবেদনের অযোগ্যতায় বলা হয়েছে, ‘কোনো প্রার্থীর বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রযোজ্য সর্বশেষ জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুসারে কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলে অথবা সংশ্লিষ্ট বিষয় ও পদের (post) জন্য এনটিআরসিএ প্রদত্ত প্রত্যয়নপত্র না থাকলে অথবা এনটিআরসিএ প্রদত্ত প্রত্যয়নপত্রের মেয়াদ (উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ আদালত কর্তৃক নির্ধারিত) উত্তীর্ণ হলে অথবা বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকুরিতে প্রবেশের জন্য সরকার কর্তৃক নির্ধারিত বয়সসীমা উত্তীর্ণ হলে তিনি নিয়োগ সুপারিশের জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।’

নিবন্ধন পরীক্ষা গ্রহণ ও মেধা তালিকা প্রণয়নের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, ‘এনটিআরসিএ দেশের সকল বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রথম প্রবেশ পর্যায়ের (Entry Level) শিক্ষকদের নিয়োগযোগ্য পদের সমন্বিত চাহিদার আলোকে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা গ্রহণ ও প্রত্যয়ন বিধিমালা, ২০০৬ অনুসারে নিবন্ধন পরীক্ষা (প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক) গ্রহণ করবে এবং পদভিত্তিক চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে মেধার ভিত্তিতে ফলাফল প্রণয়নপূর্বক ঘোষণা করবে। একই সাথে পূর্ববর্তী নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ও সর্বশেষ পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের অন্তর্ভুক্ত করে এবং ইতঃপূর্বে নিবন্ধিত মেধা তালিকা বর্হিভূত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ঐচ্ছিক বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে সম্মিলিত জাতীয় মেধা তালিকা হালনাগাদ করবে।’

নিয়োগ সুপারিশের জন্য চাহিদা গ্রহণের ক্ষেত্রে বলা হয়, ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান ম্যানেজিং কমিটি/ গভর্নিং বডির অনুমোদনক্রমে প্রথম প্রবেশ পর্যায়ের (Entry Level) শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে পদ শূন্য হওয়ার সাথে সাথে প্রতিষ্ঠানের জনবল কাঠামোতে সরকার নির্ধারিত কোটার প্রাপ্যতা উল্লেখপূর্বক উপজেলা/ থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এবং জেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে এনটিআরসিএ-তে অনলাইনে চাহিদা প্রেরণ করবেন। অনলাইনে চাহিদা প্রেরণের জন্য এনটিআরসিএ-এর সংশ্লিষ্ট ওয়েবলিংক খোলা থাকবে। শূন্যপদের সঠিকতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে এনটিআরসিএ প্রয়োজনে বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান বুরো (ব্যানবেইস) অথবা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর এবং মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের সহায়তা গ্রহণ করবে।

শূন্যপদের চাহিদা প্রাপ্তি সাপেক্ষে এনটিআরসিএ প্রয়োজনে তিন মাস অন্তর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করতে পারবে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত চাহিদা অনুযায়ী তিন মাসের মধ্যে প্রাপ্ত শূন্যপদের ভিত্তিতে ওয়েবসাইটে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করবে এবং নিবন্ধিত প্রার্থীগণ বিজ্ঞপ্তি প্রচারের ১৫ (পনের) দিন অথবা এনটিআরসিএ কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অনলাইনে আবেদন করবেন।

অনলাইনে আবেদন গ্রহণের সময় শেষ হওয়ার পরবর্তী ১০ (দশ) দিনের মধ্যে শূন্যপদের চাহিদা অনুযায়ী প্রতিটি পদের বিপরীতে প্রার্থীদের পছন্দ ও মেধার ভিত্তিতে একজন করে প্রার্থী নির্বাচন করবে এবং তা প্রার্থী ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অবহিত করবে। এনটিআরসিএ প্রয়োজনে প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অন্যান্য তথ্যাদির সঠিকতা যাচাইয়ের জন্যে তথ্য/ সার্টিফিকেট/ সনদ নির্বাচিত প্রার্থীকে দাখিল করতে বলতে পারবে। কেউ শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ বা চাহিত তথ্য প্রদান না করলে তাকে সুপারিশের জন্য বিবেচনা করা হবে না।

প্রাথমিক নির্বাচনের ফলাফলের পর কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শূন্যপদে প্রার্থী পাওয়া না গেলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুনরায় অনলাইনে শূন্যপদের চাহিদা প্রেরণ করবে।

নির্বাচিত প্রার্থীদের পুলিশ ভেরিফিকেশন (ভি-আর) ফরম দাখিল এন.টি.আর.সি.এ. কর্তৃক প্রার্থী নির্বাচনের পর নির্বাচিত প্রার্থীদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পুলিশ ভেরিফিকেশনের লক্ষ্যে ভি-আর ফরম দাখিলের অনুরোধ জানানো হবে।

এনটিআরসিএ প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের নিকট থেকে পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য প্রয়োজনীয় ভি-আর ফরম প্রাপ্তির পর তা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে প্রেরণ করবে। প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের মধ্যে কেউ পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য ভি-আর ফরম দাখিল না করলে তাকে নিয়োগ সুপারিশের জন্য বিবেচনা করা হবে না।’


সর্বশেষ সংবাদ